মতলব মোহনপুরে মায়ার জনসভায় যাওয়ার পথে যুবলীগ কর্মী গুলিতে নিহত

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে মোবারক হোসেন (৪৮) নামে এক যুবলীগ কর্মী আওয়ামী লীগেরই প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

গতকাল ১৭জুন (শনিবার) বিকেল ৩টায় মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় মোবারক হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (১৮) ও জহির কবিরাজ নামের আরেকজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মুসা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে সমাবেশের আয়োজন করেছিল মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

নিহত মোবারকের ভাই আমির হোসেন ওরফে কালু বেপারী বলেন, সমাবেশে যোগ দিতে তার ভাই যুবলীগ নেতা মোবারকসহ একদল কর্মী সমর্থক মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিজ দলের প্রতিপক্ষ লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। দুপক্ষের মারামারিতে মোবারক, তার ছেলে ইমরানসহ তিন জন গুলিবিদ্ধ হন। তাদেরকে মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মোবারককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
বিকেলে নিহত মোবারক হোসেনকে দেখতে হাসপাতালে যান মায়া চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ হামলায় জড়িত কাজী মিজানের লোকজন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার হবে। কাজী মিজান রাজাকার পরিবারের লোক।

এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কাজী মিজান বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে আমার কোনো লোক ছিল না। ঘটনাটি আমার এলাকা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ওপারে চরে ঘটেছে। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজ্জাক প্রধানের সঙ্গে তারই প্রতিপক্ষ আলমগীর হোসেন এবং আমির হোসেন ওরফে কালুর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

এই ঘটনা ঘটার পেছনে মায়ার লোকজনের হাত রয়েছে বলে আমার ধারণা। কারণ মায়া চৌধুরী ইউপি নির্বাচনের শুরু থেকে লোকজন লাগিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করেই যাচ্ছেন। লাশ ফেলবেন বলেও মায়া ও তার ছেলে দীপু চৌধুরী প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর