স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম নাড়ুয়া গ্রামে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিয়েও স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচাতে পারেনি।
পুনরায় যৌতুকের দাবিতে অমানুষিক নির্যাতন অবশেষে লাশ হয়ে ফেলল গৃহবধূ তাসলিমা আক্তার।
পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে তাসলিমকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে স্বামী। চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম নাড়ুয়া গ্রামে রনি বেপারীর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার এর রহস্যজনের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে। গৃহবধূ তাসলিমা আক্তার এর সাথে দুই বছর পূর্বে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়ে রনি বেপারীর বিয়ে হয়।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেও আরো যৌতুকের জন্য রনি তার স্ত্রীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। অবশেষে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়ে গৃহবধূকে চাঁদপুর সরকার হাসপাতালে আশংকা জনক অবস্থায় নিয়ে আসে।
হাসপাতালের ডাক্তার তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ঢাকা নেওয়ার পথে সেই গৃহবধূ তাসলিমা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে স্বামী রনি বেপারী কাউকে বুঝতে না দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স যোগে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত জন্য থানায় নিয়ে আসে।
এই ঘটনাটি আত্মহত্যা না হত্যা তা নিয়ে এলাকায় চলছে গুঞ্জন। তবে পরিবার অভিযোগ তাসলিমাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। এই ঘটনায় স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার দাবি জানান।
এদিকে পুলিশ লাশটি শুরুতার শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এই ঘটনায় নিহত তাসলিমা আক্তারের পরিবার অভিযুক্ত স্বামী রনি বেপারীসহ শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।