চাঁদপুরের ব্যাংক কলোনিতে ১৮ টি বাসা- বাড়িতে চুরি

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড ব্যাংক কলোনী এলাকায় ১১ এপ্রিল থেকে অদ্য সময় পর্যন্ত মোট ১৮ টি বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

একাধিক বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনায় চাঁদপুর সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ওমর ফারুক জানান পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি পেয়ে অনেকেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।

এই সুযোগ পেয়ে সঙ্ঘবদ্ধ চোর চক্র ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল রাত থেকে অধ্য সময় পর্যন্ত চরি করেই যাচ্ছে।
এমনকি দিনের বেলায়ও তারা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে নগদ অর্থ সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে।
ব্যাংক কলোনী এলাকার মানুষ এখন চোরের আতংকে ভোগছে।

চুরির ঘটনায় স্থানীয় ব্যাংক কলনী এলাকার একাধিক বাড়ির মালিক চাঁদপুর সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ক্যাআন্ত বাড়ির মালিক চাঁদপুর সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার আমেনা বেগম জানান দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছি।

আমার বাসার ভাড়াটিয়া গ্রামের বাড়িতে গেলে এই সুযোগে সঙ্ঘবদ্ধ চক্র জালনার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এলাকা একধিক বাসায় গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় আমরা আতংকিত।
ব্যাংক কলোনী মোঃ হাবিবুর রহমান গাজীর ভাড়াটিয়া, ওমান প্রবাসী মোঃ জাকির হোসেনের স্ত্রী সাদিয়া বেগম (৩২) জানান দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত এই বাসায় ভাড়া থাকেন।

ঈদের দুই দিন পর অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল রাতে পাকের ঘরের জালানার গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে তার গলায় বটি দা ঠেকিয়ে তিন বড়ি ওজনের একটি স্বর্ণের হার, একটি স্মার্টফোন, নগদ অর্থসহ মোট পাঁচ লক্ষ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
এই এলাকায় আরো বহু বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। ৩২০ রোজ কটেজে বাড়ির ভাড়াটিয়া চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ সহকারী কারিগরি এসিস্ট্যান্ট মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান ঈদের ছুটি কাটাতে নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী বেড়াতে যান।

বাসায় এসে দেখেন ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র ওলটপালট হয়ে পড়ে আছে । পরে বুঝতে পারেন জানালার গ্রিল কেটে চোর চট্টরা ঘরে প্রবেশ করে তিন ভরি স্বর্ণের গহনা, ১ টি নেকলেস সহ মোট ৬ লক্ষ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র পত্র নিয়ে যায় চোরেরা।
এই ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি মহল জানান পুলিশ প্রশাসনের কঠোরতা না থাকায়, কিশোর গ্যাং, মাদক কারবাড়িরা সহ সঙ্ঘবদ্ধভাবে এই চক্র শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় চুরি করে মানুষকে সর্বস্বান্ত করে ফেলে।

আগে পরে হাতে নাতে চোর চক্র সদস্যদের ধরে থানা পুলিশকে দিলেও তারা জামিনে বেরিয়ে এসে আরও সক্রিয় ভাবে চুরির কাজে লিপ্ত হয় ।

এমনকি হুমকি-ধামকিও দিতে থাকে।এখন সাধারণ মানুষ চোর আতঙ্কে ভুগছে।

সম্পর্কিত খবর