স্টাফ রির্পোটার : চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভিতর থেকে অফিসের প্রধান সহকারী মিজানের নেতৃত্বে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
২২ মার্চ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অফিসের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান তার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জ থেকে লোক এনে একাধিক গাছ কর্তন করতেছে।
জানাযায়, গত ২০/১২/২৩ তারিখে সরকারি ভাবে নিলামের মাধ্যমে হাজীগঞ্জ উপজেলার মোঃ রাজ্জাকের কাছে ৪১ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিতরের ৮ টি গাছ বিক্রি করা হয় ।এরমধ্যে ছিলো মেহগনি ৭ টি চামুল ১টি।সেই মোতাবেক ঠিকাদারের লোকজন ২২ মার্চ শুক্রবার গাছ কাটতে আসে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান তার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জ থেকে লোক এনে বেশ কয়েকটি সরকারি গাছ কেটে ফেলে তার গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়।বিষয়টি দেখতে পেয়ে এলাকার সচেতন লোকজন বাধা দেয়।
এবিষয়ে সেখানে থাকা একাধিক লেবার বলেন, ভাই আমরাতো কিছুই জানিনা। আমাদেরকে মিজান ভাই কাটতে বলেছে।উনি আমাদেরকে নিয়ে আসছে।সেজন্য আমরা কাটতেছি।
অভিযুক্ত প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান বলেন, ভাই এগুলোতো তেমন কোন গাছই না।এগুলো হয়তো লাকরী হবে। তাই স্যারের নির্দেশে আমরাই কেটে ফেলছি।
এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী বলেন,নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া গাছের বাইরে যদি কোন গাছ কেটে থাকে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।তবে তিনি গাছ কাটার কোন নির্দেশ দেননি বলে জানান।
তবে এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের বক্তব্য ছিলো যেন বিষয়টিকে অনেকটা প্রশ্রয় দেওয়ার মতো।