হাজীগঞ্জে পুলিশের কাছে হেনস্তার শিকার বৃদ্ধা স্বামী-স্ত্রী!

স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ওয়ারেন্ট আসামীর সাথে নামের মিল থাকায় এএস.আই ছামদানীর কাছে হেনস্তার শিকার হয়েছেন হেলাল মজুমদার ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম।

ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ধরতে গিয়ে নামের মিল থাকায় বৃদ্ধা হেলাল মজুমদার ও তার স্ত্রীকে মারধর করে টেনে হিঁছড়ে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে আসার অভিযোগ করেছে ওই দম্পত্তি।

২১ জানুয়ারী শনিবার বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর মজুমদার বাড়ীতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী হেলাল মজুমদার (৫৫)জানান, বাড়িতে পুলিশ এসেছে খবর পেয়ে মাঠের কাজ রেখে বাড়িতে ছুটে আসেন। পরে পুলিশ তার বিরুদ্ধে যৌতুক মামলার আসামী বলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানা যায়, মামলার কাগজ দেখে সঠিক ঠিকানা দেয়ার পরও হেলাল মজুমদার ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগমকে মারধর করে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে হাজীগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসে।

ওই দিন বিকেলে ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ধরতে বেলঘর মজমুদার বাড়িতে অভিযানে অংশ নেয় হাজীগঞ্জ থানার এস.আই গোপীনাথ সাহা ও এ.এসআই ছামদানী। কোন কারণ ছাড়াই হেলাল মজুমদারকে ধরতে গেলে তার স্ত্রী এ বিষয়ে কারণ জানতে চাইলে এএসআই ছামদানী গালিগালাজ করে মারধর করে টেনে হিঁচড়ে আহত। এমন অভিযোগ করেন ভোগান্তির শিকার হেলাল মজুমদার ও পেয়ারা বেগম দম্পত্তি।

ভুক্তভোগী পেয়ারা বেগম জানান, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কেনো যৌতুক মামলা করিনি। অন্যবাড়ির বিষয়টি নিয়ে অযথাই কেনো আমাদেরকে নিয়ে টানা হেঁচড়া করলো তার সঠিক বিচারের দাবী করছি।
স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শী তাফাজ্জ্বল হোসেন জানান, একই ইউনিয়নের গাজী বাড়ীর বিল¬াল গাজীর ছেলে হেলাল গাজীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আঁখি যৌতুক মামলা করে। মামলার কাগজটি দেখার পর ঠিকানা যাচাই-বাছাই না করে তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে স্থানীয় বেলঘর বাজারে নিয়ে যায়।

স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শী জান্নাতুল ফেরদৌস আক্তার বলেন, হাজীগঞ্জ থানার এএসআই ছামদানী বিভিন্ন সময়ে এসে অযথাই মানুষকে হয়রানিসহ গালিগালাজ করে। এছাড়াও এক আসামির ঠিকানা তাকে দেয়ার কথা থাকলেও ওনার ফোন নাম্বার না পাওয়া এসআই গোপী দাস’কে ওই আসামির ঠিকানা দেয়ায় ছামদানী মুঠোফোনে ব্যাপক গালিগালাজ করে।

এমন ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুবিচার পওত্যাশা করেন ভূক্তভোগী পরিবার। তবে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান তারা।

এবিষয়ে মুঠোফোনে এসআই গুপি সাহা জানান, ওরা খারাপ প্রকৃতির লোক এবং এরা এলাকায় চুরি ও মাদকের সাথে জড়িত বলে দাবী করেন।

মুঠোফোনে এএসআই গোলাম ছামদানী জানান, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওদের টানাহেঁচড়াও করা হয়নি বলে দাবী করেন।

এই বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, টানা হেঁচড়ার বিষয়টি জানা নাই। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আসামীর খাতায় নাম না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর