চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

মহসিন হোসাইন : সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়ন, সংবিধান আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চাঁদপুর জেলা শাখা।

রবিবার (১২ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাকসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ সামদানি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেলাল উদ্দিন এবং অধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফ।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত সফল গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে দেশের পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

সেই ধারাবাহিকতায় প্রণীত জুলাই জাতীয় সনদ-কে আইনগত স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি স্থায়ী কাঠামো তৈরির দাবি জানানো হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছে, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি প্রদানের লক্ষ্যে দুটি প্রস্তাব ইতোমধ্যে সরকারের কাছে দাখিল করা হয়েছে, সংবিধান আদেশ জারি করা এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন গ্রহণ করা। দলটির দাবি, এ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত অভ্যুত্থানের সাফল্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নির্ধারিত হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কাঠামোগত পরিবর্তন এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলসমূহের যৌথ ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৫ দফা দাবি হলো, ১. আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পূর্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোট আয়োজন। ২. জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করা। ৩. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। ৫. সৈরাচারী সরকারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ৫ দফা বাস্তবায়িত হলে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে একটি ঐতিহাসিক, গ্রহণযোগ্য ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মাকসুদুর রহমান,

সাধারণ সম্পাদক রাশেদ সামদানি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেলাল উদ্দিন এবং অধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফ। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ এবং জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর দাবিও জানান। সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত খবর