কম্পিউটার বাজারের সুমন কর্তৃক মালিককে হয়রানি : থানায় জিডি

চাঁদপুর শহরস্থ চিত্রলেখা মোড়ে কম্পিউটার বাজারের সত্ত্বাধিকারী ভাড়াটিয়া মো: ফিরোজ আহমেদ (সুমন) কর্তৃক মালিককে নানাহ হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দোকানের মালিক বেলায়েত হোসেন ১৮ আগস্ট রবিবার চাঁদপুর মডেল থানায় ফিরোজ আহমেদ সুমন এর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি করেন। যার নং- ৭৫৪।

অভিযোগ ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দোকান ভাড়ার চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের মার্চ মাসে মেয়াদ শেষ হয়। এরই প্রেক্ষিতে দোকানের মালিক বারবার দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। সুমন বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনের সময় পেশিবাদি সরকারের পক্ষ নিয়ে করাত সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করেন এবং প্রশাসনের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে নানাহ তথ্য ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন। এ বিষয়গুলো বিভিন্ন লোকজন বাড়ির মালিককে অবহিত করেন। এছাড়াও দোকানের চুক্তিপত্রে মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও দোকান না ছেড়ে সুমন নানাহ প্রভাব বিস্তার ও বিভিন্ন লোকজন দিয়ে বাড়ির মালিককে হুমকি ধমকী প্রদান করেন।

দোকানের মালিক বেলায়েত হোসেন জানায়, ফিরোজ আহমেদ (সুমন) প্রথমে ২০০৮ সালে ৩ বছর মেয়াদে দোকান ভাড়া নেয়। এরপর নানাহ প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন মানুষ ধরে তিন বছর করে ৪ দফায় ২০২০ সাল পর্যন্ত তার সাথে চুক্তি করতে হয়। দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ ব্যবসা চালানোর পর তাৎক্ষণিক অন্যত্র যাওয়ার জন্য আরো ৬ মাস মৌখিক ভাবে সময় নেন, সে সময়ের পরেও সুমন দোকান ছাড়েনি।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৯ আগস্ট চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র বরাবর তার বিরুদ্ধে দোকান ছাড়ার জন্য লিখিত আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জ্জির সভাপতিত্বে, মহিলা কাউন্সিলর আয়শা রহমান, সাবেক কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম পাটওয়ারী ও হামিম পাটওয়ারী উভয় পক্ষকে নিয়ে ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সবাই আরো ৬ মাস সময় দেওয়ার জন্য আমাকে বলেন, তখন আমি সবার কথা মেনে নেই।

তিনি আরো জানান, সেই ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরো ৩ বছরের জন্য চুক্তিপত্র বৃদ্ধি করতে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী হাসিনা বেগম এর মাধ্যমে আমাকে গত ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সুমন লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। নোটিশের আলোকে চাঁদপুর জজ কোর্টের আইনজীবী আবুল খায়ের খানের মাধ্যমে ২০২১ সালের ২ মার্চ নোটিশের জবাব দেই এবং দোকানটি ছেড়ে দিতে বলি। এরপরও সুমন আবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠালে তারও জবাব দেই আইনজীবির মাধ্যমে।
এতো কিছু করার পরেও সুমন পৌরসভার সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে অবৈধভাবে আরো ৪ বছর দোকানটি দখল করে রাখেন।

সম্পর্কিত খবর