স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে ৪নং কালচোঁ (দঃ) ইউনিয়ন রামপুর, সিদলা, শ্রীনারায়নপুর, সুবিদপুর গ্রাম সংশ্লিষ্ট ফসলি মাঠের দুই কিলোমিটার খাল খননে অনিয়ম সহ ফসলের ব্যাপক পরিমানে ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সাইনবোর্ড মেইন রোডের খালে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসী জানান অল্প গর্ত করে যেদিন লাগিয়েছিল সেদিন সন্ধ্যায় সামান্য বাতাসে পড়ে যায়। এরপর অনেক কর্মকর্তা আসলেও সাইনবোর্ডটি আর ঠিক করা হয়নি।
পানি বর্তি কাদা তোলে পাড়ে রাখলে তা টিকবে কিভাবে? এমন প্রশ্ন থেকেই যায়।
কন্ট্রাক্টর টাঙ্গাইলের বাবু নামের ব্যাক্তির সাথে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএডিসি অফিস আমাকে যা করতে বলেছে, আমি তাই করছি। অন্যআন্য অভিযোগ এড়িয়ে কৃষি কর্মকর্তার দায় চাপিয়ে যান।
ভেকু ড্রাইভার বলেন হাজীগঞ্জের বিএডিসি কর্মকর্তা মামুন’এর মাধ্যমে কাজের অগ্রগতি চলছে। এছাড়াও তিনি আরো জানান ভেকুর ভাড়া বাবত প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। কাজ করছেন তিন জন। দুই কিলোমিটার কাজ সম্পূর্ণ করতে পাঁচদিন সময় লাগবে।
স্থানীয় কৃষক, হারুন, রশিদ, জুলহাস, ইসমাইল, কালাম, আ: জলিল সহ অনেকে বলেন, আমাদের উপকারের থেকে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। পানি বর্তি কুচির খাল খননের পূর্বে আমাদের সতর্ক করলে কিছুটা ক্ষতি সামাল দেয়া যেতো। এখানে আমাদের উল্লেখযোগ্য ফসলের মধ্যে ধান,মরিচ, মুলা, টমাটো, পেয়াজ, আলু, লাউ, কুমড়া, কচু, ঢেরস, সিম, ডাটা, বেগুন সহ ভিবিন্ন শাক-সবজি মাটি চাপা দিয়েছে এবং ভেকু দিয়ে মাড়িয়ে দিয়েছে। এসময় সকল কৃষক তাদের ক্ষতি-পূরন দাবি করেন।
অনিয়ম ও দূর্নিতী বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিএডিসি কর্মকর্তা মামুন বলেন, মোট বরাদ্দ ২০লক্ষ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে তিনি বা সংশ্লিষ্ট কেউ কিছু জানেন না।
এবিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কাজের সংশ্লিষ্ট থাকলেও এবিষয়ে বিএডিসি সম্পূর্ণ তদারকি করেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল’র সাথে এবিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, খাল খননে এত বড় অনিয়ম করার সুযোগ নেই। যদি হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত সময়ে এই বিষয়ে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।