সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর- ২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিন) আসনে শেষ মুহুর্তে ভোটের হিসেব চলছে । সরজমিনে জরিপে দেখা যায় নৌকার মনোনীত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর প্রতীক এর সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ( ঈগল ) এম ইসফাক আহসান সাথে । এমনই আলোচনা চলছে মতলবের সর্বত্র।
জানা গেছে,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শের মহান ব্রত নিয়ে নিজেকে গড়ে তোলা এক আর্দশিক নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ইসফাক আহসান (সিআইপি)।
তার চিন্তা ও চেতনা সমাজের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার। তিনি সর্বদা এলাকার উন্নয়নের চিন্তা করেন ও সেই উদ্দেশ্যে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চাঁদপুর ২-আসনের মানুষের কাছে একজন নিঃস্বার্থ এবং ত্যাগী নেতা হিসাবেই পরিচিতি লাভ করে আসছেন। তাকে নিয়ে এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখেন, তাকে নিয়ে মানুষ মহান আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করেন।মতলববাসী বিশ্বাস করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসফাক আহসান এমপি নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের মাঝে রাষ্ট্রের সকল বরাদ্দের সুষম বণ্টন হবে এবং এলাকার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে, চাঁদপুর- ২ আসনটি একটি বেকারত্ব, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতি ও দুঃশাসন মুক্ত স্মার্ট মতলব হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। কারণ তার স্বপ্ন মতলব উপজেলাকে স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।
ভোটারদের মুখে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে- মতলববাসীর স্বপ্ন পূরণে ইসফাক আহসানের ঈগল মার্কার বিকল্প নেই। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত সাদামাটা ও ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক পরিচিত মুখ ইসফাক আহসান। মানুষের জন্য, মানুষের কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করা এই মানুষটি এলাকায় মানবতার ফেরীওয়ারা হিসেবে সর্বমহলে জনপ্রিয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ক্রীড়া সার্বিক কল্যানে তার এমন গুনাবলীর কথা এলাকাবাসী এবং বিশিষ্টজনদের মুখে মুখে।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে এ আসনে ভোটের মাঠে নৌকার সাথে মূল প্রতিদ্বন্ধী (ঈগল) প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর।
এ আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২শ’ ২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩৮৬৩৪ জন এবং নারী ভোটার হচ্ছে ২২৮৫৯৪ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৫৫ টি।
আসন্ন নির্বাচনে নানা কারণেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু চাঁদপুর -২ আসন। এ আসনে বরাবরের মতোই নৌকার প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। এ আসনে নৌকার মূল প্রতিদ্বন্ধী (ঈগল) প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান।
তিনি ২০২১ সালে দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সরকারের কাছ থেকে সিআইপি নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনার কর্মী হয়ে কাজ করে মতলব উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় পৌঁছে গেছেন তিনি। উপজেলার গরীব দুঃখীদের পাশে দাঁড়ানো ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত অবদান রাখছেন তিনি।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন, অসহায় ও নিম্নবিত্তসহ চাঁদপুরের মতলবের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন আহসান গ্রুপের পরিচালক, শিল্পপতি এম ইসফাক আহসান। তিনি হেল্প লাইনের মাধ্যমে মতলব উত্তর উপজেলা ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার অসহায় পরিবারকে উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন। যারাই হেল্প লাইনে সহযোগিতা চেয়ে কল করছেন তাদের বাড়িতেই পৌঁছে দেয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী।
তিনি নির্বাচনী এলাকা মতলব উত্তর দক্ষিণে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২ সহস্রাধিক গৃহীনদের মাঝে বসত ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন, মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য গরু ছাগল বিতরণ, বিধতা ভাতা, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজে তার সহযোগিতা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এম ইসফাক আহসান, সিআইপি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ২২তম জাতীয় কাউন্সিল দপ্তর উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।
এম ইসফাক আহসানের বাবা এ এস এম কামরুল আহসান (সিআইপি) মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য। তার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মোল্লা নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি নরসিংদী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। এম ইসফাক আহসান ইউকে থেকে ২০০৩ সালে ব্রিটিশ কাউন্সিল এডক্সেল ‘ও’ লেভেল, আমেরিকান কাউন্সিল অফ এডুকেশন থেকে ২০০৫ সালে জিইডি শেষ করেন। এরপর তিনি ২০০৯ সালে লিমককিং ইউনিভার্সিটির লন্ডন ক্যাম্পাস থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
দলমত নির্বিশেষে এলাকার সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসফাক আহসান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ তিনি কর্মীবান্ধব নেতা, তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন, তার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, তিনি গরিব দুঃখীদের পাশে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সর্বোপরি, তিনি ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক মতাদর্শের আলোকে বড় হয়েছেন, তাই তার মাঝে একজন আদর্শ নেতার ভাবমূর্তি বিদ্যমান।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ইমাম হোসেন বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসফাক আহসান একজন ভালো মনের মানুষ, তিনি করোনাভাইরাসের সময় মানুষের দ্বারে দ্বারে চিকিৎসাসেবা, অক্সিজেন সরবরাহ, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে নজির স্থাপন করেছেন, তিনি এমপি না হয়েও এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন জায়গায় মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ‘আমার প্রথম ভোট তাকে দেব কারণ তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী, ইসফাক ভাই এমপি হলে মতলবে ব্যাপক উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূর হবে।’
এম ইসফাক আহসান, সিআইপি বলেন ,আমি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম ও আছি। আমি মুজিব আদর্শের সৈনিক, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সফল করতে, আমার এলাকার মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে, সাধারণ মানুষের দাবির মুখে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হয়েছি। চাঁদপুর- ২ আসনের মানুষ পরিবর্তন চায়, তারা এলাকার উন্নয়ন চায়, তারা আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। আমি দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হব বলে বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাই আমি চাঁদপুর -২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।’ আশা করি আপনাদের ভালোবাসা ও জনপ্রিয়তায় আমাকে সফল হওয়ার সুযোগ দিবেন। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। আমাকে ‘ঈগল ’ মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন। তিনি নির্ভয়ে ভোটারদের স্বত:স্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ‘ঈগল ’ মার্কায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানান।