স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান মহান বিজয় দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল ৭:০০টায় কলেজ-উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ মোঃ খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষকবৃন্দ, বিএনসিসি ক্যাডেটগণ এবং রোভার স্কাউটস্ সদস্যরা অঙ্গীকার পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ১০:০০টায় কলেজ কনফারেন্স কক্ষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ গিয়াস উদ্দিন। পবিত্র গীতা পাঠ করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সুমন মজুমদার।
এরপর শুরু হয় ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতানা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনার। ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আবুল বাশারের সভাপ্রধানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক সুমন মজুমদার।
বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা আক্তারের সঞ্চালনায় সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সামছুর রহমান। প্রবন্ধের উপর আরো আলোচনা করেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ মোঃ খলিলুর রহমান এবং অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ।
সকল বক্তাই দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর সেনানীকে। গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসার সাথে স্মরণ করা হয়, সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বীর সেনানীদের।
প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রজ্ঞা এবং অসাধারণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের দক্ষতার কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ’৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। তিনি সোনার বাংলা বলতে ব্যাপক অর্থে উন্নয়ন বুঝিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এটা জানতেন এবং বিশ্বাস করতেন, এই দেশের মানুষদের মধ্যে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে একটি উন্নত জাতি গঠনের কনসেপ্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অনেক স্বপ্নকে আজ বাস্তবে রূপ দিয়েছে। আজ পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্টোরেল হয়েছে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল হয়েছে। এখন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের দিকে এগুচ্ছি। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ আর বেশি দূরে নয়। সেমিনার শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদ ও হোস্টেল মসজিদসমূহে বাদ যোহর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।