চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার ও শনিবার পর পর দুদিন এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসফাক আহসান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার দুপুরে মতলব উত্তরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন এম ইসফাক আহসান।
ইসফাক আহসান বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই আমার লোকজনের উপর হুমকি-ধমকিসহ মারধর করে আসছে মায়া চৌধুরীর লোকজন। এ নিয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ইলেকশান অনুসন্ধানী কমিটির কাছেও আমি লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও থামেনি হামলা ও নির্যাতন।
গতকাল এবং আজ আমার নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। আমার নেতা-কর্মীরা আমার বাসায় আসার পথে নৌকার প্রার্থী মায়া চৌধুরীর লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহিম, মতলব উত্তর ছেঙ্গারচর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিম, কালবেলা পত্রিকার মতলব উত্তর প্রতিনিধি সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম,
ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাসান শান্ত, আরাফাত হোসেন নিপু, রিহান, তাহসিন, মুরাদ ও শান্ত সরকারসহ ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়। হামলাকারী দুর্বৃত্তরা আমার বাড়ির সামনে এসে নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়, মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয় এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল তারা নিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে হামলার ঘটনার পর পর মতলব উত্তর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষের ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার শুভা, মেহেদী হাসান কাজল, কামরুল, খোরশেদ আলম অপু, হোসেন প্রামাণিক, বাবু প্রামাণিকসহ ২৫-৩০ জন এই হামলা চালায়।
ইসফাক আহসান বলেন, নেতা কর্মীদের উপর এমন হামলার ঘটনায় সাধারণ ভোটাররা ভীত সন্ত্রস্ত। এভাবে চলতে থাকলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। আজকের ঘটনায় আমি আবারো লিখিত অভিযোগ জানাবো কর্তৃপক্ষের কাছে। আপনাদের মাধ্যমে সকলের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের জন্যে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান শোভনসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এছাড়া মতলব উত্তরের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কাছে গত ৪ ডিসেম্বর ব্যাখ্যা চায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে মায়ার পক্ষের আইনজীবী লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন।