স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ইউসুফ হাওলাদার (৩৪) কে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত হামলা করেন যৌথভাবে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল, পরে যুবলীগের নেতাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করেন। এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন।
২৬ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০ঃ৩০ ঘটিকার সময় লক্ষ্মীপুর বহরিয়া হামিদ মাষ্টার বাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধ রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন আমি ও ইউসুফ মোটর সাইকেল করে বাড়ি যাওয়ার পথে ইউনিয়ন বি এন পির সভাপতি নুরু ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শহিদ বেপারী, ছাত্র দলের সভাপতি শাহিন পাটোয়ারী, শরীফ, আলাউদ্দিন, আল আমিন, ফরহাদ, রহিম, শাকিল সহ মোট ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ৪/৫ টি সি এন জি করে এসে আমাদের মোটর সাইকেল এর গতিরোধ৷ করে।
পরে আমার চোখে একাধিক লাইট ধরে রেখে তারা সবাই হক স্টিক, জি আই পাইব দিয়ে আমার শরীলের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে, আমাকে হত্যা করার উদ্দ্যশে মাজার মাঝ খানে টেটা দিয়ে খাই মারে। ইউসুব হাওলাদার আমাকে ছুটাতে আসাতে তাকেও মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। পরে তারা আমাকে মৃত ভেবে একটি জঙ্গলে পেলে রাখে। ইউসুফ এর ডাক চিৎকারে আসে পাশের মানুষ ছুটে আসে।
এর পরপরই তারা আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করে লোটপাট করে, আমাদের পালসার মোটরসাইকেল, ২ টি এন্ড্রইড মোবাইল, ঘরে থাকা টাকা-পয়সা সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা আমাকে ও ইউসুফকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুহসীর আলম খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনার স্থলে ফোর্স নিয়ে যায় এবং ফরহাদ ও রুবেল নামে ২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন।
এই ঘটনায় এজাহার ভুক্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের ব্যক্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।