বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর শহর ও সদর উপজেলার মাদক বেচাকেনা এখন আট মাদক কারবারির নিয়ন্ত্রণে চলছে। তবে খুচরা বিক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশী। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও যুবকরা জড়িয়ে পড়ছে এই কারবারে। দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক পাচার করতে আসা বিক্রেতারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছেন। সম্প্রতি জেলার উন্নয়ন ও সমন্বয় সভার আলোচনায় সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে উঠে আসে মাদকের ভয়াবহ চিত্র ও ৮ মাদক কারবারির নাম। তবে জেলা পুলিশ বলছে-মাদকের সাথে জড়িতের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলম জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত। মূলত শহর এলাকায় ৪জন কুখ্যাত মাদক বিক্রেতার নিয়ন্ত্রণে। তারা ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজার ডিলার। তারা অবস্থান করেন শহরের বড় স্টেশন এলাকায়। এরা হলেন-শহরের ক্লাব রোডের মিলন ভুঁইয়া, লোক কলোনীর মো. রানা, একই এলাকার মো. আব্দুর রহিম ও শহরের জামতলা এলাকার মো. শাহজাহান। এছাড়া সদর এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রণ করেন-পুরাণ বাজার কবরস্থান রোডের মো. রাসেল, পশ্চিম বিষ্ণুদী এলাকার মো. জসিম মাঝি ও বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের মিজি বাড়ীর সাদ্দাম ওরফে নেভী সাদ্দাম এবং একই বাড়ীর মো. জসিম উদ্দিন মিয়াজী।
সহকারী পরিচালক আরো জানান, শহরের বড় স্টেশন এলাকায় অভিযান করতে গিয়ে মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের সদস্যদের হাতে প্রতিরোধে মুখে পড়তে হয়েছে। এছাড়াও জেলার প্রত্যেক উপজেলায়ই রয়েছে মাদকের ডিলার। তবে বাকী ৭ উপজেলায় খুচরা মাদক বিক্রেতার সংখ্যাই বেশী।
গত এক সপ্তাহে চাঁদপুর সদর উপজেলায় দুইজন নারী মাদক বিক্রেতা, ৫ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের ৫ মাদক বিক্রেতা ও হাজীগঞ্জ উপজেলার এক মাদক বিক্রেতা ১০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক হয়েছেন। একই সাথে কোস্টগার্ড, চাঁদপুর নৌ পুলিশ, ৮ উপজেলার থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মহসীন আলম বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান রয়েছে। মাদকের সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই। দিন ও রাতে আমাদের কর্মকর্তারা অভিযান করে মাদকে জড়িতদের আটক করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আমাদের এই কাজে সকল পেশা শ্রেণীর মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। একই সাথে মাদকের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।