মাসুদ হোসেন : গত ২০১৯ সালের শেষের দিকে নির্মাণ হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ-বটতলী এলজিইডি সড়ক। কিন্তু নির্মাণের এক বছরের মাথায় বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে নির্মাণকৃত এই সড়কটি।
এ নিয়ে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর চাঁদপুরের স্থানীয় দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন কবলিত স্থান সংস্কার করেন। সংস্কারের কয়েক মাস সড়কটি ঠিক থাকলেও পরবর্তীতে মিজি বাড়ির ব্রিজ থেকে দক্ষিণ পাশে বেশ কয়েকটি স্থানে আবারো সড়কটি দেভে যায়।
দুই বছর এসব ভাঙ্গনকৃত স্থান দিয়ে ঘটেছে অসংখ্য ছোট বড় দুর্ঘটনা। মারাত্মক আহত হয়েছেন যানবাহন চালকসহ যাত্রীরা। এই বাস্তবতা বিবেচনাতে নিয়ে চলাচলের দুর্ভোগ কমাতে অবশেষে এলাকার লোকজন নামলেন রাস্তা সংস্কারে।
সম্মিলিত উদ্যোগে রাস্তাটিকে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। সোমরার (৩১ জুলাই) পল্লী বিদ্যুৎ-বটতলী রেললাইন পর্যন্ত এই সড়কের মিজিবাড়ি ব্রিজ ও আবুল খায়েরের দোকান সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানটিতে সংস্কারকাজ করা হয়েছে। এর আগেও গত কয়েকমাস আগে পাটওয়ারী ও মিজি বাড়ির ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি নিজেদের উদ্যোগে সংস্কার করেন প্রভাষক তাজুল ইসলাম হাওলাদার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজান চৌধুরীসহ স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ- বটতলী সড়ক দিয়ে এলাকার অনেক সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চাঁদপুর জেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে আসা-যাওয়া করেন। এ ছাড়া এই সড়ক দিয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরাও আসা যাওয়া করছেন। রাস্তাটির উন্নয়নের জন্য স্থানীয় মানুষ নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো ফায়দা হয়নি। শেষমেশ নিজেরাই রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন। আর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীসহ যানচালক ও এলাকাবাসী।
বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, সমস্যাটি নিয়ে এলাকার বেশ কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেক লেখালেখি করেন।
এছাড়াও স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করেও কোন সুফল না মেলায় অবশেষে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা নিজেরাই সংস্কারের উদ্যোগ নেই। এতে যদি দুর্ভোগ কিছুটা কমে আসে।