ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের অভিযোগ মতলবে ধানের দামে হতাশ কৃষক

ফারুক হোসেনঃ ধানের ভরা মৌসুমে হাটবাজারে নতুন বোরো ধানের কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন মতলবের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক। ধানের ভালো দাম না পাওয়ার জন্য স্হানীয় ধান ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফস সূত্রে জানা গেছে, মতলবের মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের এলাকায় চলতি বছর ৯ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ ধান কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।

ঘনিয়ারপাড় গ্রামের শাহিন মোল্লা বলেন, বিভিন্ন জাতের যেসব বোরো ধান কাটা হয়েছে, একরে ফলন হয়েছে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ মণ। এতে কৃষক খুশি হলেও ধান বিক্রি করতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে।

রমিজ, তকবিল, নাজিরসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ধান কাটা, মাড়াই, সেচ, জমির লিজ মানিসহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে ধান ওঠার পরপরই বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের তা বিক্রি করতে হয়। স্হানীয় ধান ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট হয়ে কম দামে ধান ক্রয় করছে। যার কারেন ধানের সঠিক দাম পাচ্ছেনা না কৃষকরা। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ফলে বর্তমানে ধানের দাম অস্বাভাবিকভাবে পড়ে গেছে।

মতলবের বিভিন্ন এলকায় মোটা এবং চিকন জাতের নানা নামের ধান ভিন্ন ভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে। যেমন ব্রি-২৯ ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ১ হাজার টাকা; ব্রি-৯০ ধান ১ হাজার ৫০ টাকা; কাটারিভোগ জাতের ধান ১ হাজার ৩০ টাকা; স্থানীয় জাত আব্দুল গুটি বিক্রি হচ্ছে ৯৬০ টাকায়।

মতলবে ধান ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী বেশিরভাগই বিভিন্ন অঞ্চলের বড় বড় মহাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ধান কিনে সরবাহ করে থাকেন। কিন্তু এখন মহাজনরা ধান কেনার প্রতি তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাই স্থানীয় ধান ব্যবসায়ীরাও বেশি পরিমাণ ধান কিনতে পারছেন না।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসার ( দায়িত্ব প্রাপ্ত) ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, ধানের দাম ওঠানামা করে। এখন যেহেতু সরকারি গুদামে ধান কেনা শুরু হচ্ছ , তাই ভালো দামে সরকারি গুদামেই ধান বিক্রির জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

সম্পর্কিত খবর