সাংবাদিকের গলায় জুতোর মালা : বিএমএসএফ’র তদন্ত কমিটি গঠন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : আগামী তিন দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নওগাঁর পত্নীতলায় সাংবাদিকের গলায় জুতোর মালা জড়িয়ে অপদস্ত করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে নিরপেক্ষ বিচারের দাবি করেছে বিএমএসএফ।

একই সাথে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম- বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, এ অপমান গোটা সাংবাদিকের। আমরা আশা করছি বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নওগাঁর এ ঘটনাটি আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। একই সাথে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিও ঘটনাটি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করবে।

শনিবার বিকেলে নওগাঁর পত্নীতলায় দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক মাহমুদুন্নবী ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনিয়ম তুলে ধরায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ক্লিনিকের মধ্যে আটকিয়ে জোরপূর্বক স্টাম্পে সাক্ষর নিয়ে, গলায় জুতার মালা জড়িয়ে এবং ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয় এমন বক্তব্য দিয়ে ফেসবুকে লাইভ করাতে বাধ্য করা হয়েছে; যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাাকেও হার মানিয়েছে।

হেনস্তার শিকার সাংবাদিক মাহমুদুন্নবী রবিবার বিএমএসএফকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করে বলেন, বগুড়া শ্বশুর বাড়ি থেকে গীতা গাড়িতে করে আমি নজিপুর বাসস্ট্যান্ড নামি ৫টার দিকে গাড়ি থেকে নেমে সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বাসস্ট্যান্ডে গোলচত্বরে যাই। সেখানে সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হারুণ অর রশিদ এর সাথে চা খেতে আমন্ত্রণ করে। হঠাৎ ডা সবুর এসে বলে আজ তোকে খেয়ে ফেলবো। তখন আমি বললাম ভই আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে আপনি মামলা করেন, মারবেন কেনো?! এই কথা শেষ না করতেই টেনেহিচড়ে সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভিতরে নিয়ে যাওয়া মাত্র কয়েকজন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এসে এতোপাতাড়ি কিলঘুষি দিতে শুরু করে। তারা বলে তুই আজ থেকে আর সাংবাদিকতা করবি না বলে স্ট্যাম্পে সাক্ষর করবি এবং ফেসবুকে লাইভে গিয়ে বলবি তুই চাঁদাবাজি করিস।

আমি রাজি না হলে আমাকে আবারো মারধর করে এবং দেশিয় অস্ত্রের মূখে আমাকে স্ট্যাম্পে সাক্ষর করায়, আমার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করায় পরে জুতার মালা দিয়ে ফটোশুট করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ আসলে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে এর প্রমাণ চাইলে কেউ দিতে পারেনি। তখন পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে আমাকে বের করে নিয়ে যায়।

তাদের মারধরে আমি আহত হলে প্রাণভয়ে বগুড়ায় পালিয়ে গিয়ে আজ রবিবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। আমার ওপর হামলা এবং অপমান- অপদস্তের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই ।

সম্পর্কিত খবর