শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের পক্ষে জুলকার নাইনের স্ট্যাটার্স

চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : কাতার ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক গনমাধ্যম আলজাজিরা বাংলা বিভাগের হেড সাংবাদিক জুলকার নাইন সামি তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সাথে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি স্পস্ট করেন।

তিনি স্ট্যাটার্সে লিখেন, “একটি সহজ বিষয়কে নানাভাবে টুইস্ট করে বেশ বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গতপরশু স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসিনা এবং তার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার নূরু স্থানীয় বিএনপির সমর্থনে চাঁদপুর সদরে আমার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করেছে এবং বিএনপির স্থানীয় নেতা ফরিদ উদ্দিন মানিকের সাথে আমার চাচারা সাক্ষাত করলে, তাঁদেরকে বলা হয়েছে “আপনিতো আওয়ামী লীগ করতেন, ভিটা থিকা যদি আপনাকে উচ্ছেদ করে দেই তাহলে কি করবেন? আপনাকে ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার ক্ষমতা আমার আছে।” ব্যাস এতটুকুই।

আমি কোথাওই উল্লেখ করিনি বা দাবি করিনি যে জনাব শেখ ফরিদ উদ্দিন মানিক আমার পৈতৃক সম্পত্তি দখল করেছেন। বরং তার আমন্ত্রণেই আমার চাচা’রা বিষয়টি সুরাহা’র জন্যে বৈঠকে বসেন। এবং এক পর্যায়ে উভয় পক্ষে বাক্য বিনিময়ে হয়। এ বিষয়টি জনসম্মুখে উপস্থাপনের পর বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়, এবং বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি দ্রুত নিরসনে সকল রকমের আশ্বাস দেয়া হয়। বিএনপির সাথে ওই সাবেক ব্রিগেডিয়ার এবং তার স্বামীর কোন সম্পর্ক নেই বলেও নিশ্চিত করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন মানিক কেবল মীমাংসার জন্যে এতে জড়িত হয়েছিলেন, তার অন্য কোন উদ্দেশ্যও ছিলোনা।
বিষয়টি পাবলিকলি প্রকাশ করায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা যেভাবে সহায়তার প্রদানে এগিয়ে এসেছেন, তাতে আমি কৃতজ্ঞ, সত্যিকার অর্থে আমার ধারণাও ছিলোনা যে আপনারা এতটা আন্তরিকভাবে ছুটে আসবেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সুরাহা চলমান। আপনাদের সকলকে আপনাদের ভূমিকার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

সম্প্রতি সাংবাদিক জুলকার নাইন সামি তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়ায় পরে গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) অনলাইন মিডিয়ায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রচারিত হয়। এর পরেই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের পক্ষে তিনি স্ট্যাটার্স দেন।

এদিকে, এ ব্যাপারে চাঁদপুর  জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক শোকজের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমাকে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে শোকজের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি আজ-কালের মধ্যেই উত্তর দেব।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক জুলকার নাইনের অনুরোধে দুপক্ষের কিছু ঝামেলা আমি মীমাংসা করতে গিয়ে এ বিব্রত অবস্থায় পড়েছি। আমার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। আশা করছি, দল আমার জবাবে সন্তুষ্ট হবে।

সম্পর্কিত খবর