কল্যাণপুরের শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের রঙ্গেরগাঁও এলাকার শিক্ষক আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারী রিপনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষীদের উপর হামলা ও বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালমন্দের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মোঃ আনোয়ার মাষ্টারের বিরুদ্ধে স্কুল অনিয়ম, ও নিয়মিত স্কুল না গিয়ে হাজিরা খাতায় শতভাগ কর্মস্থলে উপস্থিতি এবং এলাকায় একমাত্র শিক্ষিত শালিশদার দাবীতে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ্য ভাবে জমি দখল ও তার বাড়ির চাচাদের এজমালী রাস্তা ঘাট, পুকুর জোড়পূর্বক দখল ও উল্টো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল ও হয়রানী করার মিথ্যা মামলা মোকাদ্দমা বিভিন্ন কেলেঙ্কারীর অভিযোগ নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জনৈক নুরু পাটওয়ারী। সে অভিযোগের তদন্তের স্বাক্ষী দিয়ে ফেরার পথে আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষীদের উপর হামলা করে বলে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে। এ নিয়ে এলাকায় সর্ব মহলের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নুরু পাটওয়ারী অভিযোগ দায়ের করেন, সে অভিযোগের জন্য নুরু পাটওয়ারীর স্বাক্ষীদের নিয়ে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে ফেরার পথে ঘটনার দিন সকাল সোয়া ১১টা সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসের নিচে নুরু পাটওয়ারীর মেয়ে শিমু, পুত্রবধূ রুমা, ভাতিজী রুনা ও জাতিঙ্গী বউ তাছলিমাকে আনোয়ার মাস্টার ও তার সাথে থাকা ২জন তাদের পথ অবরুদ্ধ করে তাহার বিরুদ্ধে কেন স্বাক্ষী দিতে এলো সে জন্য অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। তখন নুরু পাটওয়ারীর ভাতিজা ও ভাতিজা বউ তাছলিমা প্রতিবাদ করলে আনোয়ার মাস্টার তাকে মারধর করার জন্য তেরে জান। ঐ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ষোলঘর এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি তাদেরকে রক্ষা করেন।

আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারীর চাচা নূরু পাটওয়ারী অভিযোগ করেন যে, আমার ভাতিজা পূর্বের তুচ্ছ ঘটনার শত্রুতার রেগে গত ০৯/০৬/২০২৪ তারিখে তার স্কুলে না গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে এলাকার রাকিব, মান্নান সহ স্থানীয় ৮/১০ লোক নিয়ে এসে জোড়পূর্বক আমার নিজ মালিকাধীন দখলীয় বসত বাড়ির উপর দিয়ে চলাচলের রাস্তায় নামে বেশ কিছু ফলাজী গাছ কেটে পেলে। উক্ত বিষয়ে বাধা দিলে সে আমাকেসহ আমার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করেন।

এছাড়া আমাদের এজমালী পুকুর ও আমার ভাই সৈয়দ পাটওয়ারীর এজমালী চলাচলে পথ জোড়পূর্বক বন্ধ করে রাখে। এসব বিষয়ে থানায় কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেও নুরু পাটওয়ারী ভাই সৈয়দ পাটওয়ারী মিলে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গত ২৮/০৭/২০২৪ তারিখ একটি অভিযোগ দাখিল করি। সে অভিযোগের সরজমিনে তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়।

অভিযোগের তদন্ত গত ০১/০৯/২০২৪ তারিখের নোটিশ প্রদান করেন. স্বাক্ষীদের নিয়ে ৪/০৯/২০২৪ ইং তারিখ সকাল ১০টায় সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য তাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

ভোক্তভোগী তাছলিমা বলেন যে, সে আমার সর্ম্পকে চাচাত দেবর সে অকারনে আমাদেরকে মিথ্যামামলা মোকাদ্দমা দিয়ে নির্যাতন করে আসছে। তার শিক্ষকতা পেশার আড়ালে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। আমি তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে আসায় সে আমাকে কুরুচিপূর্ন গালিখালি ও শরীরে হাত তোলার চেষ্টা করেন। আমি তার বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার মানসুর আহমেদ এর কাছে ততক্ষনাৎ ঘটনা বিষয় জানিয়েছি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মানসুর আহমেদ জানান, বিষয়টি আমাদের শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমার জানা মতে, তাদেরকে ডাকা হয়েছিল, আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত তারা সময় নিয়েছে, তারা নিজেরা নিজে মিমাংসা হয়ে যাবে বলে আমি জেনেছি।

সম্পর্কিত খবর