বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে দেনার দায়ে,গলায় ফাঁস দেওয়া, ২দফা ৩০টি করে ঘুমের টেবলেট সিডিল খেয়ে ৩বার রাসেল মোল্লা (৪০) আত্নহত্যার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে জীবন প্রদীপকে নিবিয়ে দিতে শহরের পুরানবাজার মেঘনা নদীতে প্রচন্ড স্্েরাতের মধ্যে ঝাঁপ দিয়ে মরতে চেয়েও আলোকিক ভাবে প্রায় ২ঘন্টা নদীতে ডুবে থেকে জেলেদের জালে আটকা পড়ে প্রানে রক্ষা পেলেন রাসেল মোল্লা (৪০) নামক এক যুবক। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো: মুনছুর আহমেদ জানান,রাসেল নামীয় যুবককে মূমূর্ষূ অবস্থায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সে এখনও আশংকা মুক্ত নয়। তাকে আজকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
বর্তমানে এ যুবককে নদীর জেলেরা ও এলাকাবাসী উদ্ধার করে রাতেই চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে। সে শহরের পুরানবাজার বাকালী পট্রির তাহের মোল্লার ছেলে ও আওয়ামীলীগ নেতৃ ময়না বেগমের মেয়ের জামাতা। তার পরিবারে তার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩৭),মেয়ে বৈশাখী(২০),ছেলে জোবায়ের(১৬) ও মিনহাজ(৫) রয়েছে।
একটি সূত্রে জানা যায়,পাওনাদার সোহেলকে গত ৫ সেপ্টেম্বর তারিখে ১লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সে টাকা পরিশোধ করতে নাপারায় ও সোহেল তাকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করায় সে পথ বেছে নেয়।
ঘটনাটি ঘটেছে,শহরের পুরানবাজার এলাকার বাকালী পট্রি নামক মেঘনা নদীর ইব্রাহিমপুর ভুমি অফিসের পিছনে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানাকে অবগত করা হয়েছে ,বলে রাসেলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তবে আরো জানা যায়,রাসেলের পরিবার এ বিষয়ে থানায় মামলা করবে বলেও তারা জানিয়েছেন।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে,শহরের পুরানবাজার এলাকার বাসিন্দা তাহের মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা। সে শহরে মাইকিং করে ও জেলা আওয়ামীগ অফিসে বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। সে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৫লাখ টাকা দেনা রয়েছে। এ ছাড়া পুরানবাজার এলাকার জনৈক সোহেল মিয়ার কাছ থেকে বিদেশে পাঠাবে বলে ১ বছর পূর্বে ১লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
বর্তমানে আওয়ামীগ অফিস জ্বালিয়ে দেওয়ায় ও অফিসটি বন্ধ থাকায় রাসেল মোল্লার আয় রোজগার একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সংসারে স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের সৃস্টি হয়। অপর দিকে দেনাদারনা পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে রাসেল হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়ে। অবশেষে সে কোন উপায় অন্তর না পেয়ে আত্রহত্যার পথ বেছে নেন। তার স্ত্রী রেহেনা বেগম জানান,গত বুধবার রাসেল ২দফা ৩০টি করে ঘুমের টেবলেট সেবন করে আত্রহত্যার চেস্টা করে চিকিৎসার পর রক্ষা পায়। গতকাল বৃহস্পতিবার(৫সেপ্টেম্বর) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্রহত্যার চেস্টা করে। সেখান থেকে তার স্ত্রী তাকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
অবশেষে রাসেল গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় শহরের পুরানবাজার ইব্রাহিমপুর ভূমি অফিসের পেছনে মেঘনা নদীতে প্রচন্ড স্্েরাতের মধ্যে ঝাঁপ দেয় আত্রহত্যার মাধ্যমে মরার জন্য। সেখানে এলাকার লোকজন জানতে পেরে জেলেদের জেলে নৌকার মাধ্যমে চেস্টা করে তাকে ব্যাপক খোজাখুজির পর আলোকিক ভাবে প্রায় ২ঘন্টা নদীতে ডুবে থেকে জেলেদের জালে আটকা পড়ে প্রানে রক্ষা পায় রাসেল মোল্লা। পরে তাকে জেলেরা ও এরঅকাবাসী মূমূর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সে বর্তমানে আশংকা মুক্ত নন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলমগীর হোসেন জানান,এ বিষয়টি আমাকে কেহ জনায়নি। আমি কিছুই জানিনা। তবে অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি দেখা হবে।
