চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, চাঁদপুরের শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে জন্যে আমরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দেবো। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে সহযোগিতা করবো। বৃহস্পতিবার ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদপুরে বিএনপি-জামাত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা কেন আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও শান্তির শহর চাঁদপুরকে অশান্ত করলো। এর দায় তাদেরকে নিতে হবে।

গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার ছাত্র আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে পরদিন শুক্রবার চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ওইদিন সতর্কতা অবলম্বন এবং চাঁদপুর শহরের যে কোনো নাশকতা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। চেয়ারম্যানঘাট, বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে কলেজ রোড মোড়, মিশন রোড, নতুনবাজার মোড়, শপথ চত্বর, কালীবাড়ি মোড়, জোড়পুকুর পাড়, জেএম সেনগুপ্ত রোড ও কদমতলা এলাকায় অবস্থান নেয় এবং খণ্ড খণ্ড মিছিলও করে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির চাঁদপুর শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডস্থ বাসভবনের কাছে অবস্থান নেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল, পিপি অ্যাডভোকেট রনজিত রায় চৌধুরী, হাসান ইমাম বাদশা, আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ হুমায়ুন কবির সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডঃ হেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েলসহ পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অগণিত নেতা- কর্মী।

সম্পর্কিত খবর