স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর পুরান বাজার ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বাদল ,ছাত্রলীগ নেতা শান্ত হাওলাদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জান্নাত আক্তার নামে এক তরুণী বাদী হয়ে আদালতে হামলা ভাঙচুর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নাম্বার সা,আর-৭২১/২০২৪।
চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে মামলাটির তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে আদালত।
বাদী মামলার এজেহারে অভিযোগ করেন, গত মাসের ১১ তারিখ চাঁদপুর পুরান বাজার মেরর্কাটিস রোড ছাত্রলীগ নেতা শান্ত হাওলাদার ও অমিতের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিতাইগঞ্জ এর যুবকদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বাদির ছোট ভাই মিরাজ জড়িত রয়েছে এমন মিথ্যা অপবাদ দেয় প্রতিপক্ষরা। কিন্তু সেই ঘটনায় দুটি মামলা হলেও সেখানে মিরাজের নাম নেই।
গত সাতই জুলাই রবিবার রাতে নাজিম মোক্তার বাড়ীর ভাড়াটিয়া বাসায় মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা শান্ত ও বিএনপি নেতা ভাই ভাই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বাদল সহ ১৩ জন গিয়ে মিরাজকে খুঁজতে থাকে। এ সময় মিরাজের বোন জান্নাত আক্তার প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে জামা কাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বাড়ির মালিক নাজিম মুক্তারের ছেলে আরিফ ও নাসির এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায়।
এ সময় বাদী জান্নাত আক্তারকে তার পরিবারের স্বজনরা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।
ঘটনার পর জান্নাত আক্তার মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে চাঁদপুর আদালতে পুরানবাজার ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বাদল ছাত্রলীগ নেতা শান্ত হাওলাদার ও অমিতসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরান বাজারে এর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সেই ঘটনায় নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এছাড়া যারা জড়িত নেই তাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলেই কিশোর গ্যাংদের লেলিয়ে দিয়ে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে মিরাজের বোন বাদী জান্নাত আক্তারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আসামিপক্ষ। আসামিদের হামলার ভয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদীর পরিবার।
এই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
