মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি হচ্ছেন চাঁদপুরের চার গ্রামের সাধারণ মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে সরওয়ার আলম নামে এক ব্যাক্তি কর্তৃক বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানিতে অতিষ্ঠ চার গ্রামের সাধারণ মানুষ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিরা। হয়রানির শিকার এসব মানুষ ওই ব্যাক্তির হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপারের কাছে পরিত্রাণ চেয়ে অভিযোগ করেছেন।

গতকাল সোমবার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদী গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো.সরওয়ার আলম চাঁদপুর থানা,আদালত ও পুলিশ সুপারের কার্য়ালয়ে এলাকার গন্যমান্য ও অসহায়, যুবক,বৃদ্ধ সহ বিভিন্ন ব্যাক্তির নামে কাল্পনিক ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছে। তার এসব অভিযোগ ও মামলার কারণে নানুপুর,পশ্চিম সকদী,সকদি রামপুর, মমিনপুরসহ পাশ্ববর্তী গ্রামের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ।

তার অধিকাংশ অভিযোগ হচ্ছে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন অংকের টাকা সে পাওনা রয়েছে এবং লোকজন এই অভিযোগকারী সরওয়ারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। অথচ এসব অভিযোগ ও মামলা যা পরবতীতে পুলিশের তদন্তে ও আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আদালতে তার দায়েরকৃত এধরনের বেশ কয়টি মামলা নথিজাত করা হয়েছে। এখনো এলাকার অনেকের নামে বেশ কয়টি মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা থানা ও কোর্টে চলমান রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। সিআইডিতেও এরকম অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। এলাকাবাসী আরো জানান সরওযার অনেকের কাছে টাকা দাবি করে।কেউ দাবিকৃত টাকা না দিলে তার কাছে টাকা পাওনা রয়েছে বলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে । তার এধরনের হয়রানিতে এলাকার সাধারণ মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে।কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে সে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয় কিংবা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে। জানা যায় তার দুই স্ত্রী তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে ছেড়ে চলে গেছে। সেই স্ত্রীরাও তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করছে।

এব্যাপারে বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লাল বলেন সরওয়ার অরিজিনালি টাউট।আমার কাছে এরকম অভিযোগ নিয়ে আসলেও কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। সে অনর্থক প্রশাসন ও নিরীহ মানুষদের হয়রানি করছে।
চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস ও জেলা বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন জানান,এই সরওয়ার আলম আমার কাছে টাকা পাওনা দাবি করে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছে। যা পরে তদন্তে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। সে একটা প্রতারক ও ধান্ধাবাজ।

এ ব্যাপারে সরওয়ার আলমের সকল মোবাইল নাম্বারে ও তার বাড়ি গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি ও তার সাথে কথা বলা যায়নি।

নানুপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, সরওয়ার আলমের ছোট ভাই কায়েদে আজম,৮৫বছর বয়সোধর্ব সাত্তার মিজি সহ এলাকাবাসী তার হয়রানিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা তার গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি জানান।

এসব বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন,আমি কোর্টে সাক্ষী দিতে সুনামগঞ্জ এসেছি। এধরণের কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। চাঁদপুর এসে বিষয়টির খবর নেব।

সম্পর্কিত খবর