বাবুরহাটে অবৈধ ৮৮ টি দোকানের বিদুৎ বিচ্ছিন্ন ও মিটার অপসারণ

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ বাবুরহাটে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রস্তাবিত মার্কেটের জায়গায় অবৈধ ৮৮ টি দোকানের বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার গতকাল( ৭ জুন) অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর পল্লী বিদুৎ সমিতি সহযোগিতায় বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার অপাসারন করা হয় । এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে মিটার অপসারণ কাযক্রমকে অভিযানকে স্বাগত জানান ।

অপসারণ কাজে চাঁদপুর জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী, পল্লী বিদুৎ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পুলিশ ফোর্স অংশ নেন। ফলে এ স্হানের দোকান উচ্ছেদের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন আহাম্মদ, হিসাব রক্ষক ইকবাল হোসেন, প্রধান সহকারী মো মজিবুর রহমান,উচ্চমান সহকারী কুদ্দুস ভাট ও মুক্তার হোসেন, সাভেয়ার নাছির উদ্দীন, অফিস সহকারী সায়েম পাটওয়ারী ও খোরশেদ আলম সহ জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মচারী।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কালে বাবুরহাট বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যবসায়ীরা আপত্তি করলে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন তাদেরকে বিষয়টি সরকারি উন্নয়ন কাজের একটি অংশ বলে অবগত করেন। যাতে সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন গতকাল দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, বাবুরহাটে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রস্তাবিত মার্কেটের জায়গায় অবৈধ ৮৮ টি দোকানের বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার অপসারণ করা হয়েছে। অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর পল্লী বিদুৎ সমিতি সহযোগিতায় বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার অপাসারন করা হয় । দ্রুত সম্ভব দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে ।এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে মিটার অপসারণ কাযক্রমকে অভিযানকে স্বাগত জানান । প্রশাসনের সাথে পরামশক্রমে পরবতীতে চূড়ান্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে ।

উল্লেখ্য, প্রায় ৭৫ শতাংশ জায়গার উপর জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট করার প্রশাসনিক অনুমোদন দেন। যাতে ব্যবসায়ীরা বাধ সাধেন। জেলা পরিষদ তাদের অবৈধ স্হাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের নোটিশ দেন ও মাইকিং করেন। এছাড়া এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে রীট করেন। এতে ৩ মাসের স্থগিতাদেশ দিলে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আবেদন করলে সুপ্রীম কোটের চেম্বার আদালত হাইকোটের স্থগিতাদেশ স্হগিত করেন। এখন আর দোকান উচ্ছেদে আর কোন বাঁধা রইল না।

সম্পর্কিত খবর