![](https://chandpurkhobor.com/wp-content/uploads/2023/12/no-pic.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বসতবাড়িতে রাতের আঁধারে আগুন লাগিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
ঘুমন্ত অবস্থায় মা ও ১০ বছরের কন্যা সন্তান সহ চারজনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
বুধবার গভীর রাতে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪ নম্বর ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড উত্তর চররামপুর চকিদার বাড়ির নুরুল হক গাজীর বসত বাড়িতে এই আগুন লাগানোর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
আগুনের অগ্নি লীলা দেখতে পেয়ে নুরুল হক গাজীর চিৎকারে ঘুমন্ত অবস্থায় তার ফেরদৌসী আক্তার ও তার ১০ বছরের কন্যা হালিমা আক্তার সিপা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে প্রাণে রক্ষা পায়।
প্রতিপক্ষ আব্দুল আউয়াল মাওলানা ছেলে সৌদি প্রবাসী মামুন রাঢ়ী আগুন লাগিয়ে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় নুরুল হক গাজী ঘর থেকে বের হয়ে মামুন রাঢ়ীর পালানো দৃশ্য দেখতে পায়।
এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক নুরুল হক গাজী ও তার মেয়ে ফেরদৌসী বেগম পানি ছিটিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করে বলেন, নুরুল হক গাজীর ছোট মেয়ে ফেরদৌসী আক্তারের সাথে স্বামীর তালাক হলে ১০ বছরের কন্যা সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। আর সে সময় তার উপর নজর পড়ে আনামত উল্লাহ চৌকিদারের ছেলে আকরাম হোসেন হৃদয়ের।২০২৩ সালের জুন মাসে রাতে আকরাম হোসেন হৃদয়ে বাড়িতে ফেরদৌসিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সে ডাক চিৎকার করলে লম্পট হৃদয় পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৪ তারিখ ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিবাদী আকরাম হোসেন হৃদয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই ঘটনায় আসামির পক্ষ নিয়ে আব্দুল আউয়াল মাওলানা ছেলে মামুন রাঢ়ী মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী ফেরদৌসী আক্তার ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ এবং হুমকি-ধমকি দেয়। সেই ঘটনায় দুই পক্ষের মাঝে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়। আদালতে মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন রাতে মামুন বসতবাড়ির বেড়ায় আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় নুরুল হক গাজী প্রসাব করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আগুন লাগানোর দৃশ্যটি দেখে। তার ডাক চিৎকারে মামুন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আগুন নিভিয়ে সপরিবারে প্রাণে রক্ষা পায়।
এই ঘটনায় ফেরদৌসী আক্তার তার বাবা নুরুল হক গাজী ,মা পেয়ারা বেগম ভাই শুকুর আহমেদ বোন খালেদা বেগম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এই ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।