সাগরিকা ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষের কবল থেকে অল্পের জন্য রক্ষা

বিশেষ প্রতিনিধি: চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের শহরের ওয়্যারলেছ এলাকায় (বিশ্ব রোড) এলসি-৮/(ধ) এবং চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের কিলোমিটার-১৭৬/(৪)(৫) এর এলাকায় গেইটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারনে সাগরিকা এক্রপ্রেস ট্রেনের সাথে বাস,ট্রাক,মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন ভয়াবহ সংঘর্ষের কবল থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে।

এতে করে এ ভয়াবহ ও মারাত্বক দূর্ঘটনা থেকে প্রানে বাঁচলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেযারম্যান ্এডভোকেট হুমায়ুন কবির সুমনসহ অসংখ্য প্রান ও যাবাহন। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

ঘটনার পর পর গেইটম্যান শহীদ মজুমদার ঘটনাস্থলে আসলে জনতার জনরোষের মধ্যে পরে বেদম পিটুনি খেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। এ বিষয়টি রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা ব্যবস্তা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার (৫ জুন) দুপুর অনুমান ২টায় শহরের ওয়্যারলেছ রেল গেইট ঘরের কাছে রেলপথ পারাপারের স্থানে। এখানে রেলগেইটের দায়িত্বে ছিলেন গেইটম্যান মো: শহীদ মজুমদার। শহীদ মজুমদার তার দায়িত্বে অবহেলার কারনে সে ট্রেনের নির্ধারিত সময় ঘটনাস্থলে আসাতে ও বিলম্ব করায় এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটার উপক্রম হয়ে ছিল।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে,চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী সাগরিকা এক্রপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিনের ন্যায় চট্রগ্রাম থেকে চাঁদপুর আসে দুপুর ১টায়। যথাযথ নিয়মে চাঁদপুর থেকে ট্রেনটি অসংখ্য যাত্রী নিয়ে দুপুর পৌনে ২টায় চাঁদপুর ষ্টেশন ত্যাগ করে।

শহরের ওয়্যারলেছ এলসি-৮/(ধ) এবং চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের কিলোমিটার-১৭৬/(৪)(৫) এর এলাকায় ট্রেনটি গেইট অতিক্রম করার সময় ট্রেন পারাপারের রেললাইনের ২ পাশে দায়িত্বে থাকা গেইটম্যান গেইট ব্যারিয়ার না’ফেলে গেইটঘরে বসে মাদক সেবন করছিল বলে এলাকাবাসী জানান। এরই মধ্যে দুপুর অনুমান ২টায় সাগরিকা এক্রপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে চলে আসে। গেইটটি খোলা তাকার কারনে এ স্থানটি শতশত যানবাহন ও মানুষ পারাপার করতে থাকে।

ইতি মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেযারম্যান ্এডভোকেট হুমায়ুন কবির সুমনের গাড়ীটি পার হওয়ার পর পরই একটি মালবাহি ট্রাক পার হয়। এ সময় একটি হোন্ডা আরহী ট্রেনটি আসতে দেখে মটর সাইকেলটি ঘটনাস্থলে থামিয়ে দেয়। এরই ১/২ সেকেন্টের মধ্যে সাগরিকা এক্রপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থল অতিক্রম করে চট্রগ্রামের উদ্দের্শে চলে যায়। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর প্রত্যক্ষ দর্শিনা ঘটনাস্থলে এসে ভিড় জমায় এবং গেইটম্যানকে মারধর করে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেযারম্যান ্এডভোকেট হুমায়ুন কবির সুমন বলেন,গেইটম্যানের ভুলের কারনে একটি বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে ছিল্ এবং ভয়াবহ ঘটার সম্ভাবনা ছিল। আমি রেলপথ অতিক্রম করি সেকেন্ট আসে,তার পর একটি ট্রাক আমার পিছন থেকে পার হয়।

এ পর একটি হোন্ডা ট্রেন দেখে পাড় না হয়ে সে ব্রেক করে। যার কারনে আমিসহ অনেকে প্রানে বেঁচে গিয়েছে। তা’না হলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতো। নতুবা যানমালের বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্বাবনা ছিল। তিনি আরো বলেন,শুনেছি,তারা পাশের রুমে ছিল। দায়িত্ব অবহেলা করেছে।

সম্পর্কিত খবর