ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন : ভোটার উপস্থিতি কম

চাঁদপুর খবর রির্পোট: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে স্থগিত হওয়া চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে ।

বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে দুই উপজেলার ২২৮টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলে। এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম রুপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাব্দের গাঁও বিদ্যালয়, চর কুমিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কচুয়া উপজেলার চাঁদপুর পলিটেকনিক ভোটকেন্দ্রে হাতে গোনা কয়েকজন ভোটার দেখা গেছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলায় ৭ লাখ ২ হাজার ১৯৪ জন ভোটার রয়েছেন। এই দুই উপজেলায় ৮ জন চেয়ারম্যান, ৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র এলাকায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ দেওয়া আছে। ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভোটগ্রহণ চলবে।

গতকাল ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার)।

এসময় চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো: তোফায়েল হোসেনসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন বলেন, নির্বাচনী মাঠে ২৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। পুলিশ ও বিজিবিসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। আশা করি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে ৩য় ধাপে উপজেলা নির্বাচন এই দুই
উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৮ মে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

সম্পর্কিত খবর