ফরিদগঞ্জে রাতের আঁধারে ডেকে নিয়ে যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নদীতে মাছ শিকারর কথা বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে দুই সন্তানের জনক শাহাদাৎ হোসেন সাধু নামে এক যুবকের পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর জিন ভূতের নাটক সাজায় হত্যাকারীরা। অবশেষে প্রকৃত ঘটনা ফাঁস হলে সোমবার দুপুরে মূল হত্যাকারী তাজুল ইসলাম ও তার সহযোগী কালুকে আটক করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

নিহত শাহাদাৎ হোসেন ফরিদগঞ্জ ৪নং ওয়ার্ডের বাঘপুর গ্রা‌মের বেপারী বাড়ির মৃত শহিদউল্লাহ বেপারীর ছে‌লে। তার সংসারে স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।

অবুঝ দুই শিশু এখনো জানে না তার বাবা দুনিয়াতে আর বেছে নেই। স্বামীকে হারিয়ে শোকে স্ত্রী তার দুই সন্তান নিয়ে আহাজারি করতে থাকেন।

পূর্ব শত্রুতার জের ও পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

রবিবার দিনগত রাতে উপ‌জেলার ৩নং সু‌বিদপুর (পূর্ব) ইউ‌নিয়‌নের ৪নং ওয়ার্ডের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মূল হোতা তাজুল ইসলাম রাতে মাছ ধরার কথা বলে ঘর থেকে শাহাদাত হোসেনকে কামতা বাজার সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সুপরিকল্পিতভাবে তাজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা শাহাদাত হোসেনকে মেরে পানিতে ফেলে দেয়। পরে জিন ভুতে আছর দিয়ে মেরে ফেলেছে বলে মিথ্যা অপবাদ উঠিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পানি থেকে শাহাদাত হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
অসুস্থতার নাটক সাজিয়ে মূল হোতা তাজুল ইসলামকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তদন্তের পর প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হয় অবশেষে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল হোতা তাজুল ইসলাম ও কালুকে আটক করে পুলিশ।

দুই সন্তানের জনক শাহাদাত হোসেনকে হত্যা করার ঘটনায় এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নিহত শাহাদাত হোসেন এর লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে শাহাদাত হোসেন হত্যাকান্ডের সাথে আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান পরিবারের সজনরা।

সম্পর্কিত খবর