চাঁদপুরে একটি উদ্যোগ এর ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার : “সুস্থ শরীর -সুস্থ মন গড়তে হলে হাঁটতে চলুন”এ স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুরের শুরু হয়েছে“একটি উদ্যোগ”এর “ চলেন হাঁটি “কার্যক্রম । গতকাল  শনিবার সকাল ৬টায় মনোমুগ্ধকর জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ ‘চাঁদপুর সরকারি কলেজ’ ক্যাম্পাসে কোন প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শুরু হয় এই কার্যক্রম। প্রথমদিন অন্তত প্রায় ১০০জন নারী পুরুষ যোগদেন এই হাঁটার কর্মসূচিতে। আর এই মনোরম ও প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটার উদ্যোগ নেন সাংবাদিক আলম পলাশ।

হাঁটতে আসা অনেকেই জানান,দীর্ঘ ৭ বছর এই কলেজ ক্যাম্পাসটি হাটা বা খেলা ধুলার জন্য বন্ধ ছিল। কারণ মাঠ সংস্কারসহ এর শ্রীবৃদ্ধি হওয়ায় এটি বন্ধ থাকে। অন্যদিকে সব ধরনের মানুষ ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলেও মানুষ নিরাপদ হাঁটার জায়গা পাচ্ছিলনা। কিন্তু  চিকিৎসকরা প্রতিদিন বেশি করে হাঁটার কথা বললেও কিন্তু চাঁদপুর শহরে  হাঁটার জন্য নিরাপদ স্থানের ছিলো অভাব। তাছড়া সড়কগুলোতে হাঁটার পরিবেশও নেই। যে কারণে চাঁদপুর শহরের লোকজন নিরাপদ হাঁটার স্থান খুঁজছিলো। সে প্রত্যাশা পুরনে শুরু হয়েছে ‘একটি উদ্যোগ’ এর ‘চলেন হাটি’ কর্মসূচি দিয়ে।

এই কর্মসূচিতে হাঁটতে আসা রোজিনা আফরোজ বলেন, আমি নিয়মিত হাঁটি। তবে আমার বাসায়। কারণ আমাদের হাঁটার জন্য সড়ক সমস্যা। সমান্তরাল সড়ক নেই। অনেক সময় হাঁটার সঙ্গী থাকে না। সুন্দর জায়গা পাওয়া যায় না। যখন কলেজের এই সুন্দর পরিবেশ করার কাজ চলছিলো তখনই আশা করছি এখানে আমাদের জন্য হাঁটার অনুমতি থাকলে ভালো হত। অবশেষে আজ থেকে আমাদের নিরাপদ হাঁটা শুরু হল।

আফরোজা পারভীন নামে এক স্কুল শিক্ষিকা বলেন,কিন্তু চাঁদপুর শহরে নিরাপদ হাঁটার জায়গা নেই। কারণ রাস্তায় অনেক গাড়ী, রিকশা, অটো। নিরাপত্তার অভাব। ‘চলেন হাঁটি’ এই উদ্যোগটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। যিনি উদ্যোগ নিয়েছে তাকে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আসুন আমরা সবাই এই ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচিতে যোগ দেই।

হাঁটতে আসা চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি নিয়মিত হাঁটি। শারিরীক সুস্থতার জন্য প্রত্যেকটা মানুষকেই ব্যায়াম করা এবং হাঁটা খুবই প্রয়োজন। চাঁদপুর সরকারি কলেজে আজকে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। এই কলেজ ক্যাম্পাসে হাঁটার সুবিধা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই চমৎকার এবং নিরাপদ।

‘একটি উদ্যোগ’ এর ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচির বিষয়ে আলম পলাশ বলেন, শহরের সড়কগুলোতে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।আমি নিজেও হয়েছি। যে কারণে আমি চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে হাঁটার অনুমতি নিয়েছি। যে কোন কাজে কেউ না কেউ উদ্যোগ নিতে হয়। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের দায় থাকে। তেমনি আমি নিজ দায়বদ্ধতা থেকে এই ‘চলেন হাঁটি’ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছি। জাতে করে সব মানুষ যেন সব সময় এখানে এসে হাঁটতে পারেন

চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, আমাদের অনেক দিনের প্রত্যাশা ছিলো নিরাপদে হাঁটার একটি পরিবেশ তৈরি করা । এখন হাঁটার পরিবেশ হয়েছে । আমরা এজন্য এটা সবার জন্য উন্মুক্ত করেছি। আজ থেকে সবাই এখানে হাঁটা শুরু করেছেন। আমন্ত্রণ জানাবো সকলেই যেন এখানে হাঁটতে আসনে।

সম্পর্কিত খবর