চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ব্রাদার যখন ডাক্তার!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা করছেন হাসপাতালের ব্রাদার মাসুম রাব্বানি। এটি যেন হাসপাতালের এখন নিত্য দিনের চিত্র।

জানাযায়,গত ২৯ মে বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন থেকে ছিডু মোল্লা নামে ৬০ উর্ধ্ব এক লোক গুরুত্বর আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন।তখন হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও ব্রাদার মাসুম রাব্বানি নিজেই রোগীকে প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। বিনিময়ে সে তার সহযোগী শাওনকে দিয়ে ওই রোগীর কাছ থেকে ২০০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করেন।

এমনকি এক পর্যায়ে ৮০০ টাকা হাতিয়েও নেন।কিন্তু রোগীর স্বজনদের কোথায় যেন খটকা লাগে তারা একটু বেকে বসেন তখন এক পর্যায়ে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা.জিম ইশতিয়াক মাহমুদকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি রোগীকে নতুন করে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেন।এবং ওই ব্রাদার মাসুম রাব্বানীকে শাসান বলে জানাযায়।

এবিষয়ে আহত ছিড়ু মোল্লা বলেন, আমি নৌকায় আহত হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৭ টায় আসছি তারা আমাদের কাছ থেকে চিকিৎসা বাবদ ২০০০ টাকা চেয়েছে পরে ৮০০ টাকা দিছি।

অভিযুক্ত ব্রাদার মাসুম রাব্বানী বলেন, আমরাতো এরকম প্রাথমিক চিকিৎসা প্রায়ই দিয়ে থাকি।তবে আমি তাদের কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি।

চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা ডা.জিম ইশতিয়াক মাহমুদ বলেন, সে প্রথমে একটু পাকনামি করছিলো।পরে আমি চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি দেই।টাকা নিছে কিনা সেটা আমি বলতে পারবোনা। সেটা তাদের একটা সিন্ডিকেট রয়েছে।

উল্লেখ্য এই হাসপাতালের চিকিৎসা যেন এখন অনেকটা হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির স্টাফদের দ্বারা চলছে। আর এই অসাধু চক্র প্রতিনিয়ত অসহায় রোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।এখানে টাকা ছাড়া যেন কোন কাজই হয়নি। রোগীরা যেন অনেকটা অসহায় থাকে ।

সম্পর্কিত খবর