হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনাস্থল তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে এসপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানাধীন ২ নং বাকিলা ইউনিয়নে সংঘটিত জোড়া খুনের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম-বার।

মঙ্গলবার(২৮ মে) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) জোড়া খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সোমবার(২৭ মে) দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় হাজীগঞ্জ থানাধীন ২নং বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার বকাউল বাড়িতে নৃশংসভাবে ভিকটিম হামিদুন্নেসা (৭২), স্বামী মৃত সিরাজ ও তার ছেলের ঘরের নাতি ভিকটিম আরাফাত হোসেন (১২), পিতা- ইউসুফ হোসেন, মাতা-শাহিনা বেগমগণকে খুন করা হয়।

ঘটনাস্থলের অন্য ভিকটিম হালিমা আক্তার মিম (১৫), পিতা- ইউসুফ হোসেন, মাতা-শাহিনা বেগম গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম (বার) ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন এবং ভিকটিম এর স্বজনদের আশ্বস্ত করেন যে পুলিশ দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “এ ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানাই এবং যেকোনো সন্দেহজনক তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করতে আহ্বান জানাচ্ছি।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ সহ স্থানীয় পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

এলাকাবাসী জানায়, পুলিশ সুপারের এই পরিদর্শন এবং তার তৎপরতা এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়েছে। তারা আশা করছেন যে, দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন হবে এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে।

এদিকে, ঘটনাস্থলে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ও তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর