পুরানবাজারে মৃত্যুর কারণ লিখে কৃষি ব্যাংকের ভিতরে নিরাপত্তা প্রহরীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের শহরের পুরানবাজার বাতাসা পট্টি এলাকায় কৃষি ব্যাংকের ভিতর থেকে নিরাপত্তা প্রহরী সরকারি কলেজের ছাত্র রাশেদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ।

মৃত্যুর পূর্বে নোটবুকে নিজের হাতে এর কারণ লিখে নিজেই আত্মহত্যা করল নিরাপত্তা প্রহরী রাশেদ।

পুলিশ ব্যাংকের ভিতরে একটি পক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে ও টেবিলের উপরে থাকা কাগজে লিখে রাখা সেই সুইসাইড নোটটি জব্দ করে।

অবশেষে লাশটি ময়নাতদন্ত করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ পরে হাজিগঞ্জ এনায়েতপুরে নিজ বাস ভবনের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বুধবার সকালে ঝাড়ুদার লক্ষণ কৃষি ব্যাংকের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করে রুমের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় নিরাপত্তা প্রহরী রাশেদ হোসেনকে দেখতে পায়।

এসময় সে ব্যাংক থেকে নিচে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবগত করে। নিহত নিরাপত্তা প্রহরী রাশেদ হোসেন হাজীগঞ্জ এনায়েতপুর এর আব্দুর রবের ছেলে। ২০২২ হাজিগঞ্জ মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে চাঁদপুর সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স বিভাগে ভর্তি হয়। সে সময় রাশেদ হোসেন কৃষি ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেয়। সে কৃষি ব্যাংকের ভিতরে একটি কক্ষে বসবাস করত সেখান থেকেই রাতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো ও পাশাপাশি সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতো।
বুধবার কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার যুগেনস চন্দ্র পাল ব্যাংকে এসে ভিতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় নিরাপত্তা প্রহরী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে চাঁদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইয়াসিন আরাফাত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ঘটনাটি কুনখানু ভাবে তদন্ত করেন।
এদিকে রাশেদের বন্ধুরা জানায়, তার সাথে এক মেয়ের গভীর সম্পর্ক ছিল। হয়তো সেই মেয়ের সাথে অভিমান করে সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে। তবে তার এই মৃত্যুর ঘটনায় সে কাউকে দোষারোপ করেনি তা সুইসাইড নোটে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন।
চাঁদপুরে এইভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে কোন অবস্থাতেই যেন এ লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।

এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফ জানান, নিরাপত্তা প্রহরী রাশেদ হোসেন নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর পূর্বে সে নিজের হাতে লিখে গিয়েছেন তাতে লেখা রয়েছে এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। কাউকে যেন দোষারোপ না করা হয়। এই ঘটনায় যেন কেউ বাজে মন্তব্য না করে।

নিরাপত্তা প্রহরী রাশেদের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর