![](https://chandpurkhobor.com/wp-content/uploads/2024/05/Screenshot_20240522_115459_Gmail-880x528.jpg)
চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুরের হাইমচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
নৌ-পুলিশ জানায়, নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্ব পেয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ইলিশের নিষেধাজ্ঞাকালীন দুই মাসে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করেন জেলেদের কাছ থেকে। সেই টাকা নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বসে ভাগাভাগির দরবারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নীলকমল নৌ-ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলাদেশ নৌ-পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তার এমন অনৈতিক কাজের দায় নৌ-পুলিশ নেবে না। তাই তাকে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহম্মেদকে প্রধান করে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। জাহাঙ্গীর হোসেন ক্লোজড হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার বিষয়ে আরো পদক্ষেপ নেবেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে ইলিশ অভয়াশ্রমের দুমাসের নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে অর্থের বিনিময়ে নদীতে জেলেদের নৌকা নামিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরাসহ একাধিক সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার শর্তে মোটা অংকের চাঁদার টাকা গ্রহণ করেছেন হাইমচরের নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন।
এ সময়কালে তিনি চাঁদা তোলেন অন্তত ৪০ লাখ টাকা।
সঙ্গীয় সোর্সদের টাকার ভাগ দিতে টালবাহানা করার একটি ভিডিও ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।