মতলবের নায়েরগাঁও সপ্রাবি স্কুল বন্ধ রেখে বাসায় ঘুমানোর দায়ে প্রধান শিক্ষককে শোকজ

মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি ঃ সরকারি বন্ধ এবং বিশেষ ছুটি ও কোন কারণ ছাড়াই স্কুল বন্ধ রেখে নিজ বাডীতে ঘুমিয়ে থাকার অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি হলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার মায়েরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান ।

গত ( ১৩ মে) সোমবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ১৪৫ নং নায়েরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে দেখা যায় তালা ঝুলছে এবং বন্ধ। ছাত্র ছাত্রীরা বাহিরে ঘোরাফেরা করছে।

এমন একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

পরে  ( মঙ্গলবার) উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেন। নোটিশে উল্লেখ করেন আগামী ৫ কর্মিদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমুন্নাহার বলেন,কোন কারন ছাড়া বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান বন্ধ রেখে তালা ঝুলিয়ে প্রধান শিক্ষক বাড়ীতে ঘুমাচ্ছে এমন একটি লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। ওই ভিডিওর প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে শোকজ করা হয়েছে এবং ৫ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।

উল্লেখ্য, ১৪৫ নং নায়েরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৬ জন ( প্রধান শিক্ষক ব্যতীত ) শিক্ষকের মধ্যে ৫ জন চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য জেলা অফিসে চলে যান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আজ সোমবার বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় বিদ্যালয়ের গেইটের কোন তালা খোলা হয়নি এবং বন্ধ থাকে পাঠদান। বিদ্যালয়ে আসা ছাত্র ছাত্রীরা এসে শ্রেণী কক্ষের তালাv বন্ধ থাকার কারনে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করে বাড়ী চলে যায়।

বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র নুরুন নবী এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর নাম না বলা শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়,আজকে স্কুল বন্ধ থাকবে এমন কথা কোন স্যার আমাদের বলেনি।আমরা স্কুলের তালা বন্ধ এবং কোন স্যারকে না দেখে বাড়ী চলে যেতে হয়। পার্শবর্তী নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মজিবুর রহমান বলেন,আজকে ওই বিদ্যালয়ে তালা কেউ খুলেনি এবং কোন শিক্ষকও আসেনি।তাই ছাত্র ছাত্রীরা এসে বাড়ী চলে যায়।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ( ওই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা) মজিবুর রহমান বলেন,চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্যাতীত সকল শিক্ষক নির্বাচনী প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার তো প্রশ্নই আসেনা। কেন বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে তা আমি ওনার সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারবো।

প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,আমার শরীরটা বেশী ভাল ছিল না, তাই আমি বাড়ীতে বিশ্রাম নিচ্ছি।

 

সম্পর্কিত খবর