চাঁদপুরে এসএসসির ফল প্রকাশের পর যা বললেন শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার : ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে রবিবার (১২ মে) দুপুরে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীন চাঁদপুর জেলা সদরের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে অনেক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের পাওয়া যায়নি। ঘরে বসেই ফল পাওয়ার প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকায় আবার কোন প্রতিষ্ঠানে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়।

ফল প্রকাশের পর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত আনিসা আফরোজ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি দীর্ঘ দুই বছর অনেক পরিশ্রম করে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। প্রথমত রেজাল্ট নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কি হবে ফলাফল। অবশেষে আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতে সকলের দোয়ায় আমিসহ আমাদের বিদ্যালয়ের অনেকেই জিপিএ ফাইভ পেয়েছি। আমার বাবা-মা অনেক খুশি হয়েছে এবং তাদেরকে খুশি করতে পেরেছি। এটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন ভবিষ্যতে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।

একই বিদ্যালয়ের মীম আক্তার সাদিয়া বলেন, পরীক্ষা ভাল দিয়েছি। রেজাল্টের অপেক্ষায় ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ প্রতিটি বিষয়ে এ+ এসেছে। যার জন্য আমি আনন্দিত। স্কুল জীবনে যে কষ্ট করেছি, তার ফল আজকে পেয়েছি।

শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানা বলেন, ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলাম। মনেরমতই ফলাফল হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। সকাল থেকেই অনেক টেনশনে ছিলাম। ফলাফল পেয়ে অনেক শান্তি লাগছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন ভবিষ্যতে যেন আরো এগিয়ে যেতে পারি এবং ভাল কিছু করতে পারি।

তাসপিয়া সুলতানা নামের আরেক জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী বলেন, আজকে কি ফলাফল হয়, এটি নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় এবং উচ্ছ্বসিত ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ফলফাল অনেক ভালো হয়েছে। আগামীতে যাতে আরো ভাল করতে পারে সে জন্য দোয়া করবেন।

লাভিবা আক্তার নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, রেজাল্ট নিয়ে অনেক ভয়ে ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল হয়েছে। সামনে আরো ভাল করতে চাই। মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছে আছে। দেখি কতটুকু যেতে পারি। সকলে দোয়া করবেন।

জুবায়দা নুসরাত নামে আরেক জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ফলাফল ভাল হয়েছে। আমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন আছে। আল্লাহর ইচ্ছায় আমার সে প্রচেষ্টা থাকবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ২৩২জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২২৩জন। পাশের হার ৯৬.৫৪%। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৯৮জন। জেলা সদরে এই বিদ্যালয়টি পাশের হারে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর