শাহরাস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি বসত ঘর ভষ্মিভূত

স্বপন কর্মকার মিঠুনঃ চাঁদপুরের  শাহরাস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিমেষেই ১৪টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এবং শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী ও স্থানীয় এক ব্যাক্তিসহ মোট তিনজন আহত হয়।

১২ মে রবিবার  উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিপুর বড় বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , বড় বাড়ির আব্দুল আজিজ মিন্টুর বসত ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এসময় ঘরটিতে কেউ ছিল না। পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এসময় স্থানীয়রা শাহরাস্তি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যার্থ হলে হাজিগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ইউনিট এসে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে ১৪টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। পুড়ে যাওয়া বসত ঘর গুলোর মধ্যে রয়েছে, আব্দুল আজিজ মিন্টু ,

নবীর হোসেন , নুরুল আমিন, পরল আমিন, বেলায়েত হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল মালেক, আব্দুল খালেক, সোহেল হোসেন, জয়নাল হোসেন, শহিদ হোসেন, রশিদা খাতুন, মজিদুল হক ও রফিকুল ইসলামের বসত ঘর।
ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদ নুরুল আমিন জানান, তিনি ৮ মে মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসেন, বিদেশ থেকে নিয়ে আসা বিভিন্ন মালামাল টাকা ও মালয়শিয়ায় রিংগিত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, তার অপর তিন ভাইয়ের বসত ঘরও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হওয়া আব্দুল আজিজ মিন্টুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, তিনি এসময় কিস্তির টাকা দিতে তার মেয়েকে নিয়ে হাজিগঞ্জ বাজারে ছিলেন। সংবাদ পেয়ে তিনি বাড়িতে ছুটে আসেন। তিনি জানান, এসময় তার স্বামী মিন্টু কৃষি কাজে মাঠে ছিলেন।
এঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে তিন জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন, হাবিব উল্লাহর ছেলে সোহাগ হোসেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী শাহান মিয়া ও রনি আহমেদ।
শাহরাস্তি উপজেলা ফায়ার স্টেশনের টিম লিডার আবু হাসান খান জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনে সূত্রপাত ঘটেছে।

ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তিতে সফরে আসা স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করেন ও তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত খবর