বালিয়া ইউনিয়নে কাপ-পিরিচ মার্কার উঠান বৈঠক ও গনসংযোগ

মহসিন হোসাইন: ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে চাঁদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী (কাপ -পিরিচ মার্কা) নূরুল ইসলাম (নাজিম) দেওয়ানের বালিয়া ইউনিয়নে ও ফরাক্কাবাধ এলাকায় উঠান বৈঠক সহ ব্যাপক গনসংযোগ করতে দেখা যায়।

গতকাল (শনিবার) সকাল থেকে রাত অব্দি সারাদিন তিনি ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা করতে দেখা গেছে। এসময় তিনি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন, ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে।

এক পর্যায়ে বালিয়া ইউনিয়নের ৪নং, ৫নং ও ৬নং ওয়ার্ডের ও ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিলা মেম্বার পান্না বেগমের বাড়িতে বিশাল আকারে গনসংযোগ করতে দেখা গেছে রাজনৈতিক এই হেভিওয়েট প্রার্থীকে।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন মানুষের সেবা করতে। তিনি বলেন, আসলে আমার যে পরিবার এটা আমরা মানুষের সেবক হিসেবে পূর্বে থেকেই কাজ করে আসছি। আমার পরিবারে আমার দাদা ইব্রাহিম পুরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, বাবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর নদী ভাঙ্গার পর আমরা মৈশাদী মঠখোলা এসে বাড়ি করি।

কিন্তু এর আগেও আমি আমার হানারচর এলাকায় দুই দুই বারের চেয়ারম্যান ছিলাম। এরপর ২০০৯ সালে মৈশাদী ইউনিয়নে এসে বাড়ি করার পর আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০১৯সালে এসে পুনরায় আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও আমি ১লাখ ১৪হাজার ভোটে নির্বাচিত হয়ে ইতোমধ্যে উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

আমার এই পরিবারটা আমরা মানুষের সেবক হিসেবেই পরিচিত। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা কালীন কখনো দূর্নীতি করিনি, কোনো টাকার পাহাড় গড়িনি, কারো বিরুদ্ধে অন্যায় অবিচার করিনি। সবার জন্য আমার দরজা খোলা ছিল।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন গত ২০বছর যাবৎ আমি চাঁদপুর সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এমনকি আমার নামে নূন্যতম কোনো দূর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ নাই দেখাতেও পারবেন না।
এছাড়াও গত বছর যে সম্মেলন হয়েছিল সেখানেও আমাকে পূনরায় আবার চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। যতোবার আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছি ততোবার ই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্মেলনের মাধ্যমে আমি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পেয়েছি।

এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন একবারের নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রতীক থাকবেনা। আর এই উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় কোনো মন্ত্রীর বা এমপি’র সুপারিশ বা কোনো কাছের লোক, আত্মীয় স্বজনকে নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাবিত না করে, কোনো প্রকার প্রচার প্রচারনা না করেন তাদের হয়ে সেই বিষয়ে বাধা নিষেধ রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে।

কোনো প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে এককভাবে কাজ না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই যেখানে ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে চাঁদপুর -৩আসনের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি (এমপি’র) ছোট ভাই ডা. জে আর ওয়দুদ টিপু সাহেব সে এসে আমার নেতাকর্মীদের ফোনে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। অন্য একজন প্রার্থীর হয়ে প্রভাবিত করছে সে। তারা একক প্রার্থী হিসেবে অন্য কাউকে গাইড দিয়ে যাচ্ছে এবং সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানান।

এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমি চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি (এমপি) এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বলবো যেন এই বিষয়টি তিনি একটু মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিয়ে দেখেন। এবং কারা কেন এগুলো করছেন সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেন।

পরে তিনি তার ভোটারদের উল্লেখ করে বলেন, আমি গত দুই বারের এবং রানিং চেয়ারম্যান। আমার দরজা সব সময় সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং আছে থাকবেও। এমনকি আমার অফিসের দরজায় কোনো একটি পর্দা লাগানো নাই। একজন ভিক্ষুক‌ও চাইলে যে কোন সময় ঢুকতে পারেন এবং চেয়ারে বসে কথা বলতে পারেন।

এক পর্যায়ে তিনি উল্লেখ করে বলেন, কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকর্মীরা আছেন যারা কিনা বড় বড় কথা বলেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ নিয়ে চলার জন্য তারা অনেক বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় অনেক নেতাকর্মীরাই শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবে মানেন না। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়।

আমি সব সময় আপনাদের কথা ভেবেছিলাম এখনো সেই চিন্তাই মাথায় নিয়ে আপনাদের সেবা করার জন্য পূনারায় নির্বাচিত হতে চাই। তাই ২১তারিখের নির্বাচনে আমাকে কাপ -পিরিচ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে আশাকরি।

সম্পর্কিত খবর