হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাস পর ১০ মাসের সন্তান প্রসব!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের মাত্র চারমাস পর এক নববধূর সন্তান প্রসব করেছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ওই নববধূর বাবার বাড়ি ও স্বামীর বাড়ি এলাকায় মুখরোচক আলোচনার ঝড় বইছে। গত ৩০ এপ্রিল নববধূর বাচ্ছা প্রসব হলেও বিষয়টি আজকে জানাজানি হয়।

জানা গেছে, চার মাস পূর্বে উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সাকছিপাড়া গ্রামের ওই তরুণীর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পাশবর্তী বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের জনৈক এক যুবকের সাথে। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে কিছুদিন থেকে ওই নববধূ বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান।

গত ৩০ এপ্রিল স্ত্রীকে দেখতে শশুর বাড়ি সাকছিপাড়ায় বেড়াতে যান যুবক। ওই দিন স্ত্রীর পেট ব্যথা দেখা দিলে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরিক্ষায় তার স্ত্রী পেটে বাচ্চা এবং তা প্রসবের সময় হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এর কিছুক্ষণ পরেই ওই নববধূ কন্যা সন্তান প্রসব করেন এবং কয়েকদনি পর তিনি হাসপাতাল থেকে নবজাতক সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে গেলে চারদিকে কানাঘুষা শুরু হয়। এভাবেই এক কান, দুইকান করে এখন ওই নববধূর বাবার বাড়ি ও স্বামীর বাড়ির পুরো গ্রামের সন্তান প্রসবের খবর চাউর হয়।

এ ব্যাপারে ওই নববধূর সাথে সংবাদকর্মীদের কথা হলে তিনি প্রথমে কথা বলতে চাননি। পরে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, বড় বোনের জামাই (স্বামী) কাউছার একাধিকবার তার মুখচাপা দিয়ে শারিরিক সর্ম্পক করেছেন। তিনি ইজ্জত-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু জানান নি।

তার স্বামীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি যদি আমার স্বামী মেনে না নেয়, তাহলে ছাড়াছাড়ির (তালাক) করে দিলে তিনি তা মেনে নিবেন।

এ দিকে এ বিষয়ে ওই নববধুর বড় বোন সংবাদকর্মীদের বলেন, তার স্বামী কাউছার যৌতুকের দাবীতে তাকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এমন অভিযোগি তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই সুযোগে তার আপন ছোট বোনের সাথে অবৈধভাবে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হন স্বামী কাউছার।

এ দিকে অভিযুক্ত বোনজামাই কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের নওহাটা ফকির বাড়ীর ফারুকের ছেলে কাউছারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যাযনি। এ ছাড়া কাউসারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এমন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে কালচোঁ দক্ষিন ইউনিয়নের সাকছিপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) এম.এ খালেক জানান, ঘটনাটি ওই নববধুর স্বামী আমাকে জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর