সমন্বিত উপবৃত্তি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীপনায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও হয়রানি

চাঁদপুর খবর রির্পোট: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অধীন সমন্বিত উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতায় ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেনির উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একাউন্ট নগদে রুপান্তরে ভোগান্তির শিকার দেশের প্রায় প্রায় কম-বেশি ৫লক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

জানা যায়, সমন্বিত উপবৃত্তি প্রকল্পের খামখেয়ালীপনায় এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

জানা যায়, সম্প্রতি সমন্বিম উপবৃত্তি প্রকল্পের স্কিম পরিচালক মো: আসাদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেনির উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী একাউন্ট নগদে রুপান্তরে জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু চিঠিতে কিছু বিধি নিষেধ দেওয়াতে অভিভাবকদের নগদ একাউন্ট থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের একাউন্ট নগদে রুপান্তর করা যায় না। এতে অভিভাবকরা উপবৃত্তির অর্থ প্রাপ্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

অভিভাবক জানায় , আমরা পূর্বে অন্য একাউন্টের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা পেয়েছি। কিন্তু উপবৃত্তি প্রকল্পের কিছু অসাধু কর্মকর্তার জন্য নগদের সাথে চুক্তি করায় আমাদের একাউন্ট নগদে রুপান্তর করতে হচ্ছে। এতে সমন্বিত উপবৃত্তি প্রকল্পের দুর্বল সার্ভার, বিভিন্ন বিধি নিষেধের জন্য আমরা একাউন্ট নগদে রুপান্তর করতে পারছি।

অভিভাবকরা আরো জানায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষার্থীদের উপহার উপবৃত্তির টাকা সমন্বিত উপবৃত্তি প্রকল্পের দুর্বল সার্ভার ও অসাধু কর্মকর্তাদের খামখেয়ালীপনার উপবৃত্তি প্রাপ্তি নিয়ে শংকায় রয়েছে।

শিক্ষার্থী অভিভাবক অনেকে বলেন, উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে দফায় দফায় পরিপত্র দিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে রাখছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েন প্রধান শিক্ষকরা জানান, অভিভাকদের এনআইডির সমস্যা, উপবৃত্তি সার্ভার সমস্যার সহ একাউন্ট জটিলতার কারণে আমরা উপবৃত্তির একাউন্ট নগদে রুপান্তর করতে হিমশিম খাচ্ছি। উপবৃত্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পুরাতন উপবৃত্তিধারীদের আগের একাউন্টে উপবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয় ব্যাপক সমলোচনা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর