মৈশাদী ও শাহমাহমুদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানার গণসংযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (পদ্মফুল) মার্কায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানা মুন্না পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড, ৬নং মৈশাদী ও শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড, ৬নং মৈশাদী ও ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিতে-গলিতে, পাড়া-মহল্লায়, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের কাছে দোয়া ও পদ্মফুল মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।

প্রচারণাকালর পদ্মফুল মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেবেকা সুলতানা মুন্না বলেন, আমাকে আপনারা ভোট দিয়ে একবার সুযোগ করে দিবেন, আমি আপনাদের পাশে থাকবো। আমি সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের মেয়ে ও বোন। আমি রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। আমি আমার বাবার আদর্শ নিয়ে বড় হয়েছি। আমার বাবা বিএলএফ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রাজ্জাকুল হায়দার খান সিমু। তিনি বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ বারের সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। আমার দাদাও বালিয়া ইউনিয়নে ৩২ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। ছোট বেলায় বাবার রাজনীতি দেখে বড় হয়েছি। বাবার পথ ধরেই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে জনগণের সেবা করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পদ্মফুল মার্কা নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আপনাদের মহামূল্যবান ভোটটি পদ্মফুল মার্কায় প্রত্যাশা করছি।

নির্বাচনী প্রচারণা ও শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রেবেকা সুলতানা মুন্না বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ বারের সফল চেয়ারম্যান, রণাঙ্গনের সাহসী বিএলএফ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রাজ্জাকুল হায়দার খান সিমুর জ্যেষ্ঠ কন্যা।

তিনি চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০০৪ সালে প্রানী বিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি অনার্স সম্পন্ন করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি ছাত্র রাজনীতি সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের কমনরুম বিষয়ক সম্পাদক।

এছাড়াও রাজনীতির সকল কর্মকাণ্ডে দৃঢ়তার কাজ করে গেছেন সেই ১৯৯৬ থেকে বর্তমান সময়ে। চাঁদপুরের জাতীয় নির্বাচনগুলোতেও সক্রিয়তার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সম্পর্কিত খবর