অবশেষে চাঁদপুরে স্বস্তির বৃষ্টি

বিশেষ  প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চাঁদপুর শহরে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। রবিবার দিনগত রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও শহরের মানুষ বৃষ্টির ছোঁয়া পায়নি। শুধুমাত্র ঘূর্ণিবাতাস ও বিজলি চমকানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে শেষ রাতে ঠান্ডা অনুভব হয়।

সোমবার (৬ মে) সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার থেকে মাঝারি ও ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এতে স্বস্তি মিলে শহরের খেটে খাওয়া শ্রমিকদের থেকে শুরু করে সকলের। বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে উচ্ছস্বিত দেখা যায় বিভিন্ন লোকজনকে। তবে সড়কগুলোতে যানবাহন এবং পথচারীর সংখ্যা কমেছে।

চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এমএ কুদ্দুস রোকন বলেন, আমাদের এখানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ তাপদাহের পর বৃষ্টি চরম শান্তি লাগছে। এর চাইতে বড় কিছু আর নেই। তবে বৃষ্টির পর থেকে ভবনের বাহিরে ঠান্ডা অনুভব হলেও ভিতরে গরম।

চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবী চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম বলেন, টানা গরমের মধ্যে আদালত এলাকায় বিচারপ্রার্থীসহ সকলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। আজকে বৃষ্টির পর থেকে সকলের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবেশটা এখন পর্যন্ত ভালো। বৃষ্টি কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে দীর্ঘদিনের তাপদাহ কেটে যাবে।

সাংস্কৃতিক সংগঠক এমআর ইসলাম বলেন, বৃষ্টি অব্যশই আল্লাহর রহমত। সব ধরণের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশী উপকৃত হবে।

সাহিত্যিক ও আইনজীবী রফিকুজ্জামান রণি বলেন, অনেকদিন পরে বৃষ্টি হলো। আমরা এমন একটি মুহূর্তের প্রত্যাশায় ছিলাম। জনজীবন হাফিয়ে উঠেছিলো তীব্র তাপদাহে। বৃষ্টির শীতল পরশে আবারও  প্রাণ ফিরে পেয়েছি আমরা, প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি। বেঁচে থাকার জন্যে বৃষ্টি যে প্রকৃতির অপরিহার্য উপাদান, খরার তীব্রটা সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছে।

এর আগে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ও চলতি মাসের শুরুতে চাঁদপুরে বৃষ্টির জন্য দোয়া কামনা করে একাধিকবার ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লীরা।

সম্পর্কিত খবর