স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের কচুয়ায় বিধবা নারী শিরীন আক্তারের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে তারই দেবরের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার আশরাফপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের আব্দুল হক হাজী বাড়িতে গেলে এমন অভিযোগ করেন পরিবারটি।
জানা গেছ, মৃত আবুল বাশার জীবদ্দশায় প্রবাসে থাকাকালীন ২০০০ সালে ৩৯ শতাংশ সম্পত্তি চার ভাইয়ের নামে ক্রয় করেন এবং চার ভাইয়ের মাঝে এই সম্পত্তি সমানভাবে বন্টন করে ।
২০২১ সালে আবুল বাশার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
তারপর পরেই মৃত আবুল বাশারের আপন দুই ভাই দেলোয়ার হোসেন ও জাকির হোসেন ভাইয়ের কাছে সম্পত্তি পাবে দাবী করে বিভিন্ন সময় শিরিনা আক্তারকে হুমকি ধামকি ও মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক শামীমের নেতৃত্বে দেলোয়ার হোসেন ও জাকির হোসেন গংরা জোরপূর্বক জায়গা দখল করতে বিভিন্ন পায়তারা করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিধবা শিরিনা আক্তারের টিনের বেড়া ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। পরে উপায়ান্তর না পেয়ে মৃত আবুল বাশারের স্ত্রী ভুক্তভোগী শিরিন আক্তার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক শামীমের উপস্থিতিতে সীমানা প্রাচীরের নিচের মাটি সরিয়ে নিয়ে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শিরিন আক্তার।
ভুক্তভোগী শিরিনা আক্তার এসব ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেও ওমর ফারুক শামীমের ক্ষমতার দাপটে কোণঠাসা হয়ে পরে।
শিরিনা আক্তার জানান, ওমর ফারুক শামীম ২০১৫ সালে তার একমাত্র মেয়ে তামান্না বাসারকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। তার বিভিন্ন অপকর্ম সামনে আসায় তিনি তার মেয়েকে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে শামীমের সংসার থেকে নিয়ে আসেন।
ভূক্তভোগী শিরিনা আক্তার ও তার মেয়ের জীবনে নিরাপত্তা আছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ও জাকির হোসেন বাড়িতে না থাকায় মুঠোফোনে একাধিকবার বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে কথা হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক শামীমের সাথে, মুঠফোনে তিনি জানান এ পরিবারে সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। সম্পত্তিগত বিরোধের একটি সালিশী বৈঠকে উপস্থিত থেকে সমাধানের চেষ্টা করেছি। অন্য কোন ঘটনার বিষয়ে জানা নেই ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, সম্পত্তিগত বিরোধকে কেন্দ্র করে কয়েকবার সালিশি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু আমরা কোন সুরাহা করতে পারেনি।