হাইমচর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,হাইমচর উপজেলা শাখার নির্বাচিত চলমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক,একাধিক জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দের স্বেচ্ছায় গনহারে পদত্যাগের হিড়িক পরেছে।
পদত্যাগ কারি শিক্ষক নেতৃবৃন্দরা হলেন,নূরে আলম সিদ্দিকী (সহ-মিডিয়া সম্পাদক,চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি)।ভবানী শংকর মজুমদার(সহ-প্রচার সম্পাদক,চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি)।মোঃ নাছির উদ্দিন(সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,হাইমচর উপজেলা শাখা)।মোঃ আনোয়ার হোসেন(সদস্য,চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি) জাহাঙ্গীর আলম(সহ-সভাপতি,বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,হাইমচর উপজেলা শাখা),
বাদশা মিয়া (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,হাইমচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি)।মাহমুদা বেগম(যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক(মহিলা)হাইমচর উপজেলা শাখা)।মোঃ সিদ্দিকুর রহমান(সাহিত্য সম্পাদক,হাইমচর উপজেলা শাখা)।মুজিবুর রহমান(কাব স্কাউটিং সম্পাদক,হাইমচর উপজেলা শাখা)।
মোঃ কুদ্দুস মিয়া(প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক,হাইমচর উপজেলা শাখা)।মজিবুর রহমান(সভাপতি ৪নং নীলকমল ইউনিয়ন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি,হাইমচর উপজেলা শাখা)।সিরাজুল আলম(সাধারণ সম্পাদক,৫নং হাইমচর ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতি,হাইমচর উপজেলা শাখা)।মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী(যোগাযোগ সম্পাদক,হাইমচর উপজেলা শাখা)।মোঃ জাহাঙ্গীর আমল(সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি,২নং উত্তর আলগী ইউনিয়ন শাখা।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি হাইমচর উপজেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ২০০৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে ২০১৬ সালে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বশীল হয়ে অদ্যাবধি কাজ করেছি।আমি আমার সংগঠন’কে ভালোবেসে সংগঠনের মাধ্যমে হাইমচর উপজেলার সলক শিক্ষকের সার্বিক কল্যাণে নিঃস্বার্থ ভাবে এগিয়ে গিয়ে কাজ করেছি।সংগঠন কে ভালোবেসে আমি আমার স্ত্রী,সন্তান,ব্যবসা সহ সকল কাজকে দূরে সরিয়ে সংগঠনের জন্যে মনে প্রানে কাজ করেছি।
পদত্যাগের বিষয়ে মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন,আমি নীলকমল ওছমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, একজন অভিভাবক এবং প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক । নীলকমল ওসমানীয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট মোঃ শরীফ হোসেন আখন এবং আমি বিভিন্ন সময়ে তিনটি দরখাস্তের মাধ্যমে অভিযোগ করি। সেই অভিযোগের তদন্তে বিগত ৩ এপ্রিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আসলে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণসহ সেখানে আমাদেরকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।সেদিন সেখানে আমার উপরএবং উক্ত বিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষকের উপর অন্যায় ভাবে হামলা করা হয়,সেই হামলার প্রতিবাদে আমার প্রাণের সংগঠন,হাইমচর উপজেলা শিক্ষক সমিতি এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা কেহই কোনপ্রকার আনুষ্ঠানিক সমবেদনা বা প্রতিবাদ করেনি।
তারই ধারাবাহিকতায় আমি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ছোট বড় শিক্ষক নেতাকর্মীরা গণহারে পদত্যাগ করেছেন।এই পদত্যাগের মাধ্যমে আমি ও আমার প্রিয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দরা নিরব বিপ্লবী প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ করেছি।এবং আগামী ৮ জুন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বয়কট করলাম।