দক্ষিণ আশিকাটিতে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে স্থাপনা করতে গেলে সন্ত্রাসী বাঁধা!

আবুল বাশার মিয়াজী ত্রিশ বছর পূর্বে জায়গা কিনে সেখানে ঘর তুলে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন যাবত। সেখানে আরো স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে একের পর এক বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছেন ক্রেতা আবুল বাসার মিয়াজী। কখনো মামলা দিয়ে, কখনো হামলা চালিয়ে আবার কখনো চাঁদা দাবি করে কাজে বাধাগ্রস্ত করছে। আর এমন কাজ করছেন স্বয়ং জমি বিক্রেতার ছেলে।

ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ আশিকাটি গ্রামে (বাবুরহাট বিসিক সংলগ্ন)। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ আবুল বাসার মিয়াজী ১৬ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ আবুল বাসার মিয়াজী ১৯৯৩ সালের মে মাসের ৩ তারিখ ২১৭৫নং দলিলের মাধ্যমে রেকর্ডীয় মালিক ইয়াসমিন আক্তার ও জেসমিন আক্তারের কাছ থেকে .৩০ একর এবং তাদের বাবা মোঃ আব্দুল খালেক মিজি হতে ১৯৯৫ সালের ২ মে ২২২৩নং দলিলের মাধ্যমে .১২ একর, মোট .৪২ একর জমির মালিকানা লাভ করে। দুটি দলিলমূলে নামজারি করে ১৪৩০ সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করা আছে। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন। বর্তমানে ওই জায়গায় তার বাড়ির সাথে আরেকটি বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে।

কিন্তু আবদুল খালেক মিজির ছেলে একেএম ফরিদ তার বাবার বিক্রিত এই জায়গা সন্ত্রাসী হামলা ও মামলা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে দখল করতে চান। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েকবার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আদালত অস্থায়ী স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান ও চাঁদপুর সদর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসের ৩ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত প্রতিবেদন দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, একেএম ফরিদ উক্ত ভূমির মালিক মোঃ আবদুল খালেক মিজির ওয়ারিশ সূত্রে দাবি করলেও আব্দুল খালেক মিজি ১৯৯৫ সনে আবুল বাসার মিয়াজীর কাছে বিক্রি করে এবং আবুল বাসার মিয়াজী ওইখানে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। একেএম ফরিদের কোনো দখল পাওয়া যায় নি। উক্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে নেয়।

এদিকে মামলায় হেরে গিয়ে নতুন করে বোনদের দিয়ে আবারও গত ২১ এপ্রিল আরেকটি ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে একেএম ফরিদ। অথচ একই ধারার মামলায় আদালত ইতিপূর্বে অস্থায়ী স্থিতাবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন প্রতিনিয়ত মোঃ আবুল বাসার মিয়াজীকে আরো মামলা-হামলা করে বাড়ি দখলের হুমকি ও চাঁদা দাবি করে আসছে একেএম ফরিদ গং। আবুল বাসার মিয়াজী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার পরিকল্পনা করছে তারা।

এলাকাবাসী জানান, আবুল বাসার মিয়াজী একজন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা। উক্ত এলাকায় দীর্ঘ ৩০ বছর সম্মানের সাথে বসবাস করে আসছেন। তার সম্মানহানীর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা সন্ত্রাসী হামলার আতঙ্কে বসবাস করছেন। সন্ত্রাসী একেএম ফরিদের তাণ্ডবে এলাকার কোনো লোক এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি উক্ত সন্ত্রাসীর বিচার প্রার্থনা করছেন।

সম্পর্কিত খবর