চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : একমাস পবিত্র মাহে রমজানের সিয়াম সাধনার পর চাঁদপুর পৌরসভাসহ জেলা জুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ঈদ উদযাপন কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তে জেলা সদরে পৌর এলাকার ২০টি স্থানে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টায় প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় পৌর ঈদগাহ মাঠে। এই মাঠে নামাজ আদায় করেন চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এছাড় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্যাহ, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর জনাব মো: আসাদুজ্জামান সরকারসহ, সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা এই জামায়াতে অংশগ্রহণ করেন। এখানে নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা আবদুল্লাহ মো. হাসান।
এসময় চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে চাঁদপুর জেলার সবার মাঝে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
এদিন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চাঁদপুর জেলার সরকারি শিশু পরিবারে শিশুদের মাঝে ও জেলা কারাগারে বন্দিদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
শহরের বড় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠত হয় চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে। সকাল পৌঁনে ৮টায় অনুষ্ঠিত এই জামায়াতে নামাজের ইমামতি করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ। এই ঈদগাহ মাঠের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আয়োজক কমিটির সভাপতি অ্যাড. সেলিম আকবর।
চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সোয়া ৮টায়। ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মো. নিজামুল হক। সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় চাঁদপুর পুলিশ লাইনস মাঠে। সেখানে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুস সালাম। সেখানে পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে পুলিশ সুপার কর্মকর্তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
শহরের পুরাণ বাজার মধুসূধন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সোয়া ৮টায়। সেখানে নামাজের ইমামতি করেন মুফতি ইব্রাহীম খলিল মাদানী।
এছাড়াও জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক বড় মসজিদে সকাল ৭টায়, সকাল ৮টায় ও সকাল ১০টায় তিনটি পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানেও হাজার হাজার মুসল্লী ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহন করেন।
প্রথম জামায়াতের ইমামতি করেন মুফতি মো. আবদুর রউফ, দ্বিতীয় জামায়াতে ইমামতি করেন মাওলানা হাফেজ মো.আনাছ ও শেষ জামায়াতে ইমামতি করেন মাওলানা হাফেজ মো.এমদাদ উল্লাহ।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর চাঁদপুর জেলা জুড়ে প্রত্যেকটি ঈদের জামায়াত খুবই সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়। ছোট-বড়, ধনী-গরীব সকলে একত্রিত হয়ে ঈদের জামায়াতে নামাজা আদায় করেন। নামাজ শেষে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় এবং কোলাকুলি করেন। এই বছর জেলা জুড়ে ছোট বড় দেড় হাজারের মতো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।