শাহতলীর যুবকদের উপর কিশোর গাংয়ের ২দফা হামলা: থানায় অভিযোগ দায়ের 

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বড় শাহতলী গ্রামের ব্যবসায়ী মো: মেহেদী হাসান মিজি  (২৪), ও মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র কাউসার মিজি (১৬)পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মিজি এর উপর কিশোর গ্যাং এর দু-দফা হামলার ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ১লা এপ্রিল  এ ঘটনা ঘটে ।

মো: মেহেদী হাসান মিজির পিতা শাহতলী নিবাসী বিশিষ্ট ইট বালু ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মিজি গতকাল দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান,আমার ছেলে ব্যবসায়ী  মো: মেহেদী হাসান মিজি  ও  মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র কাউসার মিজির উপর হামানকদ্দী আদুর খার স্কুলের কাছে ও সদর হাসপাতালে  দুদফা কিশোর  গ্যাংরা হামলা চালায় ।  আমি নিজে আমার আহত ছেলেকে রাতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও ৮/১০জন কিশোর গ্যাংরা হামলা চালায় । আমি হাসপাতালেও নিরাপদ হলাম না । তবে সাথে সাথে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে তাৎক্ষনিক পুলিশের টহলটীমের এসআই নয়ন আর্শ্চাযের নেতৃত্বে  পুলিশ অভিযান করে । আমাকে নিরাপত্তা বিধান করে এবং  কিশোর গ্যাং এর গ্রুপের একজন সন্ত্রাসীকে আটক করে সর্তক করে ছেড়ে দেয়।  এ ব্যাপারে আমি চাঁদপুর পুলিশ সুপার ও মডেল থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি । আমি ন্যায় বিচার চাই ।

চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে,সন্ত্রাসী হামলার শিকার গুরুত্বর আহত মো: মেহেদী হাসান বাদী হয়ে  বিবাদী ১। সিয়াম খাঁন (১৯), পিতা- খোকন খাঁন, ২। মোঃ শাকিল প্রঃ শিপন (২০), পিতা- মৃত বাবুল মেম্বার, সাং- হামানকর্দ্দি, ৩। ফয়েজ মিজি (১৯), পিতা- বারেক মিজি, সাং- হামানকর্দ্দি ৪। সিয়াম খাঁন (১৯), পিতা- খোকন খাঁন, সাং- হাপানিয়া, ৫। মোঃ মাসুম (২০), পিতা-কালাম, সাং- উত্তর হামানকর্দ্দি, সর্ব থানা ও জেলা- চাঁদপুর সহ অজ্ঞাত আরোও ১৫/১৬জন আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

১এপ্রিল  রাত সাড়ে ৯টায় কিশোর গ্যাংরা প্রথম হামলা করে হামানকর্দ্দি দৌলুতপুরি মাদ্রাসার দক্ষিন পার্শ্বে ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার উপর এবং  পরে ভিকটিম মেহেদী চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে গেলে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ২দফায় হামলা করে কিশোর গ্যাংরা। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানাকে বিষয়টি অবগত করলে থানার টইলরত এসআই নয়ন আর্শ্চাযের নেতৃত্বর পুলিশ অভিযান করে কিশোর গ্যাং এর গ্রুপের একজন সন্ত্রাসীকে আটক করে সর্তক করে ছেড়ে দেয়।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিবাদীরা উশৃঙ্খল, বদমেজাজী, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, মাদকক সেবনকারী, লাঠিয়াল, মাস্তান এবং খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীরা প্রায় সময় এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবন সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে।

বিবাদীদেরকে অন্যায় কর্মকান্ড করতে বাধা নিষেধ করলে বিবাদীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত ও উত্তেজিত হয়ে এলোপাথারী মারধর করে মারাত্মক গুরুতর জখম করে।

বিবাদীরা ভিকটিমের কাছ থেকে একটি ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়া যায়। যার অনুমান মূল্য- ৭৫,০০০ টাকা।

এতে আরো উল্লেখ করা হয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে নিয়ে আসলে অজ্ঞাত বিবাদীরা ভিকটিমের পিতা শাহতলী নিবাসী ইট বালু ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মিজ কে বিভিন্ন হুমকি ধমকি সহ মারধর ২য় দফা মারধর করে।

সম্পর্কিত খবর