চাঁদপুরে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার সাকিব নির্যাতনের ঘটনা অবশেষে রফাদফা

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের বাবুরহাটে প্রতারণার আরেক নয়কৌশল ভুয়া ফেসবুক আইডি প্রেমের ফাঁদে ফেলে অভিনয় করে মোবাইলে ডেকে এনে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার মাহিনুর আলম সাকিব নামের যুবককে আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।

লক্ষ্মীপুর জেলায় থেকে যুবককে ধরে চাঁদপুর সদর পৌরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ড শীলনদীয়া গ্রামের গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আনসার বিডিবির সদস্য মোঃ নাজিমের বাসায় দুই দিন শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। অবশেষে ট্রিপল নাইনের সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ শিকল বাধা অবস্থায় অপহতা মাহিনুর আলম সাকিবকে উদ্ধার করে ও মূল হোতা আনসার ভিডিপি সদস্য নাজির ও তার ভাই রাকিব হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

এই ঘটনায় অপহতা মাহিনুর আলম সাকিবকে মা কোহিনুর বেগম ছেলেকে নির্যাতন করার প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু আটক আনসার সদস্যদের পরিবাররা বাদিকে মামলা না দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। অবশেষে ঘটনাটি রফদফা হলে রাতে থানা থেকে মোছলেকা রেখে অভিযুক্ত দুই আনসার সদস্য রাকিব ও নাজিরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

লক্ষ্মীপুর সদরে আনসার ভিডিপির সদস্য রাকিব হোসেনের শালিকার সাথে প্রেম করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক মাহিনুর আলম সাকিবকে লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে ধরে চাঁদপুরে এনে রুমের ভিতর দুই দিন আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। মুক্তিপণের দুই লক্ষ টাকা দাবি করে পরিবারের কাছে। আপন দুই ভাই আনসার সদস্যের অমানবিক কাণ্ডে জাতিকে হতবাক করে দিল। এভাবে একজন আইনের লোক হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপহরণের মতো একটি জঘন্য অন্যায়ের কাজ করায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনায় অপহিতা পরিবার জানায়, ফেইসবুক ও টিক টক এর মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর সদরে আনসার ভিডিপিতে সদস্য রাকিব হোসেন শালিকা পূর্ণিমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয়। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাহিনুর আলম সাকিবকে ফোন করে ডেকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় থেকে অপহরণ করে তুলে চাঁদপুরে রাকিবের ছোট ভাই নাজিমের বাসায় এনে আটকে রাখে। তারা পরিকল্পিতভাবেই সাকিবকে আটকে রেখে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অবশেষে স্থানীয় এলাকাবাসীর ও মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণকারীদের বাসা থেকে সাকিবকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসার পর অবশেষে অভিযুক্ত আনসার সদস্য দুই ভাই এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে না বলে অঙ্গীকার করায় ঘটনাটি সমাধান হয়।

সম্পর্কিত খবর