মোঃ কবির হোসেন : চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনায় জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযানে নীলকমল নৌ’পুলিশ ১১’জন জেলেকে আটক করেছেন।
নীলকমল নৌ’পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে আলতাব মাস্টার ঘাটের পশ্চিম দিকে।মেঘনায় জাটকা রক্ষা অভিযানে ২৮’শে মার্চ ১১’জন জেলে’কে আটক করে নীলকমল নৌ’পুলিশ ফাঁড়ি,১১জনের মধ্য একজন কিশোর জেলে রয়েছে।
দিনভর অভিযান চালিয়ে আনুমানিক বিকেল ৪:৩০ মিনিটের সময় চরভৈরবী ইউনিয়নের জালিয়ারচরের মেঘনা থেকে ১১ জেলে’কে আটক করতে সক্ষম হয় নীলকমল নৌ’পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ।নীলকমল নৌ’পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন এর নির্দেশক্রমে একটি টিম প্রতিদিনের ন্যায় মেঘনায় জাটকা নিধন বন্ধের অভিযান চালায়।
তিনি আরও বলেন,উক্ত অভিযানে জেলে নৌকা কে ধাওয়া করলে,নৌকায় থাকা জেলেরা পুলিশের উপর ইট পাথর নিক্ষেপ করে এবং হামলা চালায়।দীর্ঘ এক ঘন্টা সময় ধরে জেলেদের ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয় নীলকমল নৌ’পুলিশের সদস্য বৃন্দ।
জেলেদের হামলায় ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন,নৌ’পুলিশের স্পীড বোর্ডের চালক মোঃ মানিক মৃধা,পিতাঃ খোকন মৃধা,দক্ষিণ বগুলা।গুরুতর আহত হয়।আহতরা হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
উক্ত অভিযানে ১১’জেলে আটক ও একটি তিন ইঞ্চিন বিশিষ্ট মাছ ধরার ট্রলার জব্দ এবং আনুমানিক ১৫’শ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করতে সক্ষম হয়। আটককৃত জেলেদের নিয়মিত মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
নীলকমল নৌ’পুলিশ দুই মাস নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার ২৯ দিনে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে জাটকা নিধন বন্ধের অভিযানের সফলতা দৃশ্যমান রয়েছে। মেঘনায় জাটকা মাছ নিধনের নৌকা ও জেলেদের উপস্থিতি খুবই কম।আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞার বাকি ৩২’দিন অতিতের মতো করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে মেঘনাকে জেলে মুক্ত রাখার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
উক্ত অভিযানে নীলকমল নৌ’পুলিশ ফাঁড়ির পাশে সকল পরামর্শ,নির্দেশনা ও সহযোগিতা করে পাশে ছিলেন চাঁদপুর নৌ’পুলিশের এসপি মহোদয়।তিনি আমাদের সহযোগিতা করে পাশে ছিলেন।আমি ধন্যবাদ জানাই নীলকমল নৌ’পুলিশ ফাঁড়ির সকল পুলিশ সদস্যদের,তারা দিনরাত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে।