স্টাফ রিপোর্টার : রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মেঘনা নদীতে প্রভাবশালীদের মদদে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
চাঁদপুরের নৌ পুলিশের অভিযানে বালু উত্তোলনকারী চক্র ড্রেজার নিয়ে পালিয়ে যায়,পরে আবার ফিরে আসে।
ফলে বাহাদুরপুর গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প অস্তিত্ব ধংস।৩ শ ৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যায়ে পাউবোর তীর সংরক্ষন কাজ ভেস্তে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের এলাকাবাসীরা জানান দশানী এলাকায় মেঘনা নদীতে গত কদিন ধরে রাতের বেলা প্রভাবশালীদের মদদে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ৮/১০ টি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।তারা বলেন সন্ত্রাসী,ডাকাতি,চাঁদাবাজি, গুলিবর্ষণ, লুটতরাজ, ডাকাতি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী দশানীর শুভা,মোহনপুরের আহার খালাসী,শাহীন খালাসী,বোরহান খালাসী,বাহাদুর পুরের আমির হোসেন কালু,আলমগীর কবিরাজ মেম্বার নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দশানীর মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এর ফলে অবৈধ বালু উত্তোলনের নিকটবর্তী বাহাদুরপুর গ্রামের মানুষের মাঝে ভিটেমাটি হারানের আতংক দেখা দিয়েছে। মেঘনা নদীর দশানী এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের অন্যতম মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের অস্তিত্ব ধংস হয়ে যাবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ৩ শ ৪৭ কোটি ৬৫ লাখ ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষন, স্লোব প্রতিরক্ষা, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ পুনঃমেরামত,মাঠ নালা পাকাকরনসহ চলমান উন্নয়ন কাজ ভেস্তে যাবে।বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে ধান চাষাবাদ ব্যাহত হবে। ধানের উৎপাদন কমে যাবে, কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাহাদুরপুর গ্রামসহ নদীর পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী তাদের ভিটে মাটি রক্ষায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যাবস্হা গ্রহনে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন,পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে যোগাযোগ করলে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান জানান অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বিষয়টি জানার পর তা বন্ধের জন্য মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়নতু পাল জানান, মতলবের মেঘনায় বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানার পর এব্যাপারে খোজ খবর নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের নির্দেশ দিয়েছি।অবৈধ বালু উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেলে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প রক্ষায় তা বন্ধে যথাযথ ব্যাবস্হা নেয়া হবে।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয় জানার পর গত ২ দিন নৌ পুলিশ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালিয়েছে।পুলিশ দেখে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা ড্রেজার নিয়ে পালিয়ে যায়। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মতলবের মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন কমান্ডার সাব লেঃ মোঃ ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাতে বলেন।জেলা প্রশাসক ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দিলে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করবে।