হাজীগঞ্জে অভিমানে শ্বশুরবাড়িতেই যুবক মিলন মুন্সির আত্মহত্যা !

বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার হাজীগঞ্জে বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় স্ত্রী আকলিমা আক্তার(১৮)এ’ বাবার বাড়ি থেকে (স্ত্রীকে স্বামীর সঙ্গে নিয়ে) স্বামীর বাড়ি যেতে রাজি না’হওয়ায় স্বামী মিলন অভিমান করে শ্বশুরবাড়িতেই আত্মহত্যার পথ বেঁেছ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যুবক মিলন মুন্সী (২৩) আত্মহত্যা করেছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর উত্তর পাড়া গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহননকারী মিলন মুন্সী উপজেলার ৪নং কালোচোঁ ইউনিয়নের উড়পুর মুন্সীর বাড়ির বাদল মুন্সীর ছেলে।

মিলন মুন্সীর পিতা জানান, গত ৫ মার্চ পারিবারিকভাবে ছেলের বিয়ে হয়। বিয়ের আড়াই দিন পর পিতার বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসতে আর রাজি হয়নি আমার ছেলের স্ত্রী আকলিমা আক্তার।

বৃহস্পতিবার আমার ছেলে তার স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে তার শাশুড়ি মেয়েকে দেবে না বলে ছেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। জানতে পারি এক পর্যায়ে অভিমানে রাত কাটায় আমার ছেলে। পরে শ্বাশুড়িকে শুক্রবার স্ত্রীকে দেওয়ার কথা বলেও ব্যর্থ হয়ে পকেট থেকে বিষের বোতল নিয়ে খেয়ে ফেলে। পরে স্থানীয় চিকিৎসা শেষে কুমিল্লায় নেওয়ার পথে য্বুক মিলনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে রাগী স্বভাবের ছিল এবং মানসিক সমস্যাও ছিল তার। সে নেশাগ্রস্ত হয়ে আমাদের মারধর করতো। যার কারণে তাকে জেলেও দিয়েছিলাম একবার।

গৃহবধূর বড় বোন আয়শা আক্তার ও তার বাবা আব্দুর রহিম জানান, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারি ছেলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যে কারণে এর আগেও দুইবার তারা আমাদের মেয়েকে নিতে এলে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, মূলত এই ছেলে আগেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। সে তার বাবাকেও মারধর করতেন। নেশাগ্রস্ত ও উত্তেজিত অবস্থায় থাকতেন। এই ঘটনায় মৃতের বাবা বাদল মুন্সী থানায় মামলা করেছেন। বাকিটা ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

সম্পর্কিত খবর