স্টাফ রিপোর্টার : বাজারে পণ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে চাঁদপুর পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মুহসিন আলমের নেতৃত্বে বাজারগুলোতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ অভিযান করার সময় পন্য দ্রব্যের মূল্য কমে আসলেও পরবর্তীতে আবারো বেড়ে যায়। অবশেষে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মুহসিন আলমের নেতৃত্বে ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক ,এসআই শাহজাহান সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পালবাজারে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়।
এ সময় পালে বাজারের সকল দোকানদারকে পণ্য তালিকার সাটিয়ে মূল্য নির্ধারণ করে ক্রেতাদের কাছে কম লাভে বিক্রি করার নির্দেশ দেয়।
এছাড়া পালবাজারে আড়ৎদার ব্যবসায়ীদের সাথে ওসি মুহসিন আলম কথা বলেন যাতে করে তারা কাঁচামালের দাম বেশি না রাখে।
এদিকে পালবাজারে প্রবেশ মুখে রাস্তা দখল করে ব্যবসায়ীরা কাঁচামাল সহ বিভিন্ন ফল রেখে ব্যবসা করতে দেখে তাদেরকে সেগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেয়। ফুটপাত দখল করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। মডেল থানা পুলিশের অভিযান চলাকালীন সময়ে পালে বাজার ব্যবসায়িক সমিতির সভাপতি হারুন পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক শরাফত আলী মাস্টার সাথে ছিলেন।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মুহসিন আলম জানান, রমজান উপলক্ষে কাঁচামাল সহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী দাম অনেকটা বেড়েছে। পণ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সুপারের নির্দেশে পালেবাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রথমত সতর্কতা মূলক নির্দেশনা দেওয়া হয় তারা যদি মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
পাল বাজার ব্যবসায়িক সমিতির সভাপতি হারুন পাটোয়ারী জানান, আমরা বাজার নিয়মিত তদারকি করতেছি প্রতিটা দোকানে যাতে মূল্য তালিকা দেওয়া হয় সে কারণে বিষয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পণ্যের দাম পূর্বে বৃদ্ধি পেলেও এখন অনেকটা কমতে শুরু করেছে।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, খুচরা বাজারে পণ্যদ্রব্য কিনতে গেলে পূর্বের চেয়ে দ্বিগুণ দাম রাখে। প্রতিনিয়ত ভোক্তা অধিকার ও পুলিশে অভিযান চালালে দ্রবমূলের দাম কমে আসবে। তবে পুলিশ দেখা মাত্রই ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম কম রাখলেও পরবর্তীতে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়।